'' সত্যের সাথে শান্তির পথে ''

বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

জেলেনী ধর্ষণ !

(নাটকটি সত্য অবলম্বনে ২৮/০৮/১৫ এর প্রথম আলো পত্রিকা) 


প্রথম দৃশ্য




জেলেঃ (জাল বুনতে বুনতে)কইগো তেল দিছো ন্যাম্পোয় রাত ভইরা থাকবার হইব ভোরে ফিরমু।

জেলেনীঃ (ন্যাম্পো আনতে আনতে)কালই দিয়ে দিয়ে রেখেছি ভাবার কোনো কারণ নাই।
জেলেঃ ও তাই,তয় কও কি খাবা মাছ বেইঁচা লইয়া আমু তুমি যা খাইবার চাও তাই। 
জেলেনীঃ জিলেপী খাব, জিলেপী আর আমার জন্য একজোড়া চুড়ি কি আনবা? 
জেলেঃ ওরে আমার নয়া বউ আচ্ছা আচ্ছা তয় আসি। 
জেলেনীঃ (দৌরাতে দৌরাতে জোরে)গরম জিলেপী নিও আর চুরিটা লাল রঙ্গের নিও। 
জেলেঃ ইতা কি আর কইতে হয় আমার সোনা বউয়ের পচ্ছন্দ কিতা আমি জানিনা নাকি। 


দ্বিতীয় দৃশ্য



(রাজীব সরকার ও অমল সরকার ঝোঁপের পিছনে থেকে লুকিয়ে জেলে কমলের গতিবিধি লক্ষ্য করছে)

রাজীব 
সরকারঃ ওই কমল দা বের হইছে ঘরতন এখনি ঢুকবি । 
অমল 
সরকারঃ তুই কি আবাল নাকিরে আস্তে কথা ক। 
রাজীবঃ ও তয় এখন যাবি নাকি আরেকটু পরে? 
অমলঃ সবুরের ফল মিঠা হয় কথাটা হুনোস নাই একটু দ্বারা মিঠা খাবি তয় একটু সবুর কইরাই খা ভগবানও খুশি হইব। 
রাজীবঃ এই কামেও!!
অমলঃ ওই তুই ভয় দেহাস কে আগে খাঁয়া লই আর তোর পাপের ভয় হইলে যাগা আমি একাই খাই। 
রাজীবঃ ভয় লাগতাছে আমার বাপও বাইচাঁ আছে অভিশাপ দিলে ভগবানে আমারে ছাড়ব নি। 
অমলঃ তয় যা। 
রাজীবঃ হয় তয় মুই গেনু। 
(রাজীব প্রস্থান করতে ধরে)

অমলঃ এ রে সত্যি যায় দেখি আমি একলা ফাসলে বাচমু কেমনে আর ওই মাইয়াও তাজা একলা পারুম না । ঐ দ্বারা একটা জিনিস খায়া যা। 
(ইয়াবা আগিয়ে দেয়)

রাজীবঃ ও বড়ি আনসস, বাংলা আনস নাই। 
অমলঃ কত খাবি তরে স্নান করাইয়া দিমু এই ল। 
(বাংলা মদ আগিয়ে দেয়)

(খেতে খেতে অমল গান ধরে
''ওরে মোর ইয়াবা,কস কি তুই ইয়াবা
খামু তোরে গিল্লা,ভগবানরে যাম ভুইল্লা,
আকাম করমু খারাইয়া'')

রাজীবঃ ঠিক কথা কইছছ ভগবানের ভয়ের চোটে বাপের তন টাকা চুরিও ছাইরা দিছি কিন্তু তুই কইলি বাংলা আনবি তাই চুরি না কইরা পারলাম না। 


তৃতীয় দৃশ্য



(জেলে কমল হাওড়ে পৌঁছে ও দেখে চারিদিক অন্ধকার তীব্র অন্ধকার ঠান্ডা হাওয়ায় বইছে বটে) 

জেলেঃ আহরে অমল দা,রাজীব না কইছিল আইব। 
নজরুলঃ কেঠা ! কেঠা ! ও কমল দা! 
জেলেঃ কিরে ওরা আইল না কেরে? 
নজরুলঃ খুইজাঁ দেহেন নেশায় টাইলা পইড়া রইছে হয়তোবা কোথাও। 
জেলেঃ আহ-হারে অমল দা নেশা আর ছাড়বার পারল না।


চতুর্থ দৃশ্য



(অত্যন্ত গভীর রাত ২ বেজেছে সবাই ঘুমিয়ে আছে ঠিক তখন) 

অমলঃ (সিগারেটের ধোঁয়া উড়াতে উড়াতে) চল মাখন চুরির সময় হইছে। 
রাজীবঃ (হঠাৎ কথা শুনে থতমত খেয়ে বুকে থুথু দিতে দিতে) কিতা হইছে? কিতা কিতা? 
অমলঃ চল। 
রাজীবঃ (চুল স্পাইট করতে করতে) ডাক দিম নাকি? 
অমলঃ জোরে দিস ঘুমাইছে এতক্ষণে। 
রাজীবঃ (গলায় খুসখুসি দিয়ে) কমল দা..,কমল দা..,মাছ মারতে যাইবা না? 
অমলঃ কিরে পাচঁমিনিট তো হইল খুলে না কেরে।তরে দিয়া কিচ্ছু হইব না তর বাপের টাকা না থাকলে তরে দুই পয়সা দামই দিতাম না। 
রাজীবঃ (অমলের কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথে) কমল দা,কমল দা,কমল দা...,মাছ মারতে চলো... 
(জোরে শব্দ দরজা খোলার ঠাঁস)

জেলেনীঃ (দরজা খুলতে খুলতে) কে গো কে এত রাতে? 
অমলঃ বউদি আমরা অমল,রাজীব। 
জেলেনীঃ ও তোমার দাদাতো হাওড়ে বেড়িয়েছে আরও আগে,তা এখন যাও। 
(চোখ মুছতে মুুুুছতে)

অমলঃ বউদি বিশ্বাসতো হয়না।নয়া বউরে রাইখা এত সহজে ঘরতন কি বাইর হইছে..হুম মনে তো হয় না কি কস রাজীব? 
রাজীবঃ হ তুই ঠিক কইছস চলে ঘরে ঢুইকা দেখি। 
(বলেই ঘরের ভিতরে ঢুকে যায় রাজীব সাথে অমলও ডুকে) 
জেলেনীঃ এখন দেখছ তো ঘরে সে নেই,এখন তাহলে যাও আমি অুসুস্থ তাই ঘুমানো প্রয়োজন। 
অমলঃ কেন জান এখনই ঘুমাবার চাও দেরি কর। 
(বলেই ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে অমল)

জেলেনীঃ একি করছ। 
অমলঃ অই তুই শুদ্ধ ভাষায় কথা কছ কেরে? 
জেলেনীঃ আমি ইন্টারপাস এ গ্রেড পাওয়া গ্রামের সেরা ছাত্রী। 
রাজীবঃ এখনও কিছু করি নাই দিদি এখন করব.... 
জেলেনীঃ (চোখ বড় বড় করে) না না নাহ.... আমার এই এক বছর আগে বিয়ে হয়েছে...একথা বলো না। 
রাজীবঃ আহরে দিদি বাপ যদি আমঙ্গ বিয়া দিত তালে কি আর এই কাম করতে আইতাম আমার যদিও ১৮ বছর হইয়া গেছে কিন্তু আমার কমল দার তো ৩০ বছর। 
অমলঃ আর তোমার তো ১৯ বছরেই বিয়া হইছে তাই আমঙ্গ জ্বালা আর বুঝবা কি? 
(মেয়েটির হাত ধরে টান দেয় অমল)

জেলেনীঃ (সজোরে বাচাঁও বাচাঁও বলে চিৎকার দিয়ে) ভগবানকে ভয় কর অমল,ভগবানকে ভয় কর রাজীব। 
রাজীবঃ আমার কিন্তু সত্যিই ভয় লাগতাছেগো অমল। 
অমলঃ ঐ গামছাটা দে। 
(রাজীব ঝুলন্ত গামছাটিকে অমলকে দেয়)

অমলঃ(গামছা দিয়ে মেয়েটির মুখ সজোরে বেধেঁ ফেলে) আর বান্দীতে ভগবানের ডর দেখাইতে পারব না।তুই বান্দীর হাত দুই টা ঠাসঁয়া ধইরা থাক যাতে না ছুটবার পারে আর আমি পায়ের দিকটা সামলাইতাছি।এবার আরামে কাম কইরা ভাগমু.... 
(মেয়েটি নিজেকে ছাড়ানোর বহু চেষ্টা করছে মোচরান দিচ্ছে বারবার যাতে ছুটতে পারে কিন্তু না পেরে বুক ফেটেঁ কাদঁছে আর ব্যাথায় প্রচন্ড চিৎকার করছে) 


পন্ঞম দৃশ্য



(দীর্ঘক্ষণ দুজনে মিলে মনের সানন্দে ইচ্ছামত মজা লুটে তথা ধর্ষণ করার পর) 

অমলঃ রাজীব ছাড়াইরা দে মাইয়াডারে আর কতক্ষণ কষ্ট দিবি? 
রাজীবঃ আম,ছালা খাইয়া আটিঁ রাখছ তাও আবার কথা কও। 
(মেয়েকে ছেড়ে দিয়ে হাহ.হাহ. আওয়াজ করতে করতে নিজে ও মেয়েক পানি খাওয়ায় রাজীব।দৃশ্য দেখে ছোঁ মেরে পানি নিয়ে খায় অমল) 
অমলঃ দেখ বউদি ভুইলা যাও এখন যা হইল কারণ আমঙ্গতন তোমার সম্মান হারাইব বেশি আর তোমার বাড়িও নতুন আশপাশে কোন ঘর নাই তাই তোমার চিৎকার কেউ শুনেও নাই আর কেউ জানেও নাই। 
রাজীবঃ হ দিদি মাইনষেরে কওনের কোনো দরকার নাই,ভুইলা যাও। 
(শোয়ারত অবস্থায় ডান চোখ থেকে শুধু এক ফোঁটা পানি পরে মেয়েটির কোনো কথাই যেন মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না তার শুধু মনে জাগছে নিজের প্রতি ঘৃণা আমানুষ পশুরূপী পুরুষদের প্রতি ঘৃণা) 
রাজীবঃ দি.. (কথা বলতে গিয়ে থেমে যায় রাজীব মেয়েটির এমন করুণ অবস্থা দেখে,দ্রুত তারা উভয়ে প্রস্থান করে) 


ষষ্ঠ দৃশ্য



(আল্লাহুআকবর আল্লাহুআকবর....ফজরের আযান চলতে থাকে) 

জেলেঃ ওহ ভোর হইল দেখা যায় তাড়াতাড়ি হাটেঁ যাই সকাল সকাল গেলে মাছের দাম চড়া পাওয়া যাইব। 
নজরুলঃ হ দাদা হাচাঁ কথা তয় আমি নামায পইড়া আসি একলগে রওনা দিম। 
জেলেঃ আচ্ছা যা,আর আমি পানিতে নাইমা মাছ গুলারে উঠাই আর সূর্য দেবের পূজাটাও সাইরাফালাই। 
নজরুলঃ (যেতে যেতে দূর থেকে একটু জোরে) আমার মাছগুলাও তুইল দাদা। 
জেলেঃ সেইটা আর কইতে হয়। 


সপ্তম দৃশ্য



(সকাল ১০টা জেলে কমল হাটেঁ মাছ বেচেঁ চুরি জিলেপি ও শাড়ি কিনে ঘরে ফিরছে) 

জেলেঃ ওগো কই তোমার জন্য একটা জিনিস আনছি। 
জেলেনীঃ কথা শুনেই তাড়াতাড়ি নিজের শাড়িটা পরে কানা মুছে বসে থাকে। 
জেলেঃ (মেয়ের চোখদুটো ধরে) বলত তোমার জন্য কি আনছি? 
জেলেনীঃ জিলেপী,চুরি। 
জেলেঃ না আরও আছে? 
জেলেনীঃ (চোখ দুটো ছাড়িয়ে) কই দেখি? 
জেলেঃ এই নাও। 
জেলেনীঃ(শাড়ি দেখেই শিশুসুলভ লাফ দেয়) এমা কত সুন্দর শাড়ি! 
(কথা শেষ হতেই মেয়েটি জেলেকে জড়িয়ে ধরে নিজে সান্তনা পাওয়ার চেষ্ঠা করে কিন্তু কিছুই বলে না ধর্ষণের কথা) 


অষ্টম দৃশ্য



(রাত সাড়ে আট টা ) 

জেলেঃ (জাল বুনতে বুনতে দুয়াঁরে বসে) ওগো তেল দিছনি ন্যাম্পোয়? 
জেলেনীঃ (ন্যাম্পো আগিয়ে দিয়ে) এই নেও। 
(বাহির থেকে জোরে আওয়াজ আসে কমল দা,কমল দা,মাছ মারতে যাইবা না...) 
জেলেনীঃ (কন্ঠ শুনে আতঁকে উঠে চোখ বড় বড় করে ) ওহ ওহ এরা আজও এসেছে। 
জেলেঃ কি হয়েছে গো এত ভয় পাচ্ছ কেন? 
(মেয়েটিকে বুকে জড়িয়ে সান্তনা দিতে দিতে) 
জেলেনীঃ (কান্না করতে করতে) ওগো তারাই কাল রাতে আমার নোংরামী করেছে আবার আজও এসেছে।আমাকে বাচাঁও.... 
(বলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মেয়েটি তারপর জেলে কমল তার মাথায় পানি দিয়ে সুস্থ করে তুলে একত্রে রওনা দেয় গ্রমের পন্ঞায়েৎ প্রধান রফিকুল ইসলাম তালুকদার এর বাসায় কারণ মৃত্যদন্ড বিচার চায় জেলে কমল।নালিশ শুনে তালুকদার কাল বিচার করার সিদ্ধান্ত দেন) 


নবম দৃশ্য



(রাজীব সরকারের বাবা রূপেশ সরকার দ্রুত পা পদচালন করে) 
রূপেশঃ এই রাজীব তুই এইটা কি আকাম করছস (গালে একটা কষে চড় মেরে) 
রাজীবঃ আমি না,আমি না অমল দা ইয়া করছে। 
রূপেশঃ কেনরে অনমল এই কাম করছস কে তোর বাপ হইলে তোরেও একটা চড় কষাইতাম। 
অমলঃ আমাগো মাফ কইরা দেন। 
(দুজনে মিলে পা চেপেঁ ধরে) 
রূপেশঃ ঠিক আছে এখন চল তালুগদার বাড়ি যাইতে হইব। 


দশম দৃশ্য



(রফিকুল ইসলাম তালুকদার সাহেব সিগারেট খেতে খেতে বড় সড় চেয়ারে বসে রাজকীয় ভাবে ঘাটের পাড়ে বসে হাওয়া খেতে খেতে) 

রূপেশঃ পা ধর,পা ধর তালুকদারের পাটা টিপাও দে। 
(শুনেই শুরু করে দেয় তারা)

তালুকদারঃ কিরে আস্তে টেপ পাদুইটা কি ভাইঙ্গা দিবি। 
রূপেশঃ সাহেব বিচার একটু হাল্কা কইরেন। 
তালুকদারঃ আকাম করছে শাস্তি তো পাইতেই হইব তয় শুধু পা টিপলেই কি মাফ পাওয়া যাইব বাজার ঘাট করতে তো পয়সাও লাগে। 
রূপেশঃ (৫০০০ টাকা বাড়িয়ে) এই নেন। 
তালুকদারঃ তুই কি পুঁটিমাছ চুরির মাফ চাছ নাকি টাটকা মাইয়ার যৌবন চুরির মাফ চাছ। 
রূপেশঃ (দশ হাজার টাকা বাড়িয়ে) এই নেন বিচার সহজ হইলে রসগোল্লায় খাওয়াব। 
(সকলেই প্রস্থান করে)



একাদশ দৃশ্য



(পরদিন দুপুর ৩টায় বিচার কার্য শুরু হচ্ছে গাছের নিচে চেয়ারে গোলবৈঠকে বসে আছেন তালুকদার,শিক্ষিত জয়ন্ত সরকার,সবচেয়ে বয়স্ক কৃপাসিন্দু তালুকদার ,রূপেশ সরকার এবং জেলে কমল সরকার আর মাটিতে অনেকেই বসে রয়েজে। দাড়িয়ে আছেন শুধু দোষী দুজন আর মেয়েটি বাবার সাথে তালুকদারের ঘরে রয়েছে) 

তালুকদারঃ জয়ন্ত শুরু কর। 
জয়ন্তঃ ভাইসাব,আজ আমাদের সালিশী বৈঠক হচ্ছে, ''জেলে শ্রী কমল(২৫) সরকার বাদী হয়ে শ্রী অমল সরকার(৩০) এবং শ্রী রাজীব সরকার(১৮) এর বিরুদ্ধে নালিশ করেছে যে,তারা কাল রাত দুইটায় জেলেনী(১৯) এর বাসায় ঢুকে যবরদস্তি ধর্ষণ করেছে।'' 
তালুকদারঃ জয়ন্ত যাও ওদের কাছে নিয়া আস। 
জয়ন্তঃ জী জনাব। 
(জয়ন্ত অমল,রাজীবকে কাছে এনে)

তালুকদারঃ কি গো মিয়া এইটাকি হাচাঁ কথা? 
অমলঃ জি মানে.. 
(কথা বলার আগেই টান দিয়ে কথা বলে ওঠে রূপেশ)

রূপেশঃ বল বল কিছুই করছ নাই। 
অমলঃ হ হ কিছুই করি নাই। 
কৃপাসিন্দুঃ ঐ মিয়া রূপেশ আপনি চুপ কইরা বহেন। 
রূপেশঃ(মাথা নামিয়ে নিয়ে মনে মনে সালা বুড়া) হুম। 
তালুকদারঃ কি গো কমল হেরা দি না করে। 
(সবার দৃষ্টি জেলের দিকে) 
জেলেঃ হু..... (মন মরা হয়ে মাথা নুয়ে বসে আছে এবং কিছুই না বলে নিশ্বাস ছাড়ল) 
তালুকদারঃ জয়ন্ত যাও ঘরে গিয়ে ঘটনা শুনে আসো মেয়েটির থেকে। 
জয়ন্তঃ জী। 
(শুনে আসার পর)

তালুকদারঃ কি শুনলা? 
জয়ন্তঃ কিভাবে বলি কিন্তু বিচারের জন্য প্রয়োজন তই বলি,সে বলল অমল, রাজীব নাকি মুখ গামছা দিয়ে বেধেঁ তাকে প্রায় একঘন্টা ধরে অমল এবং প্রায় পনের মিনিট ধরে রাজীব তাকে ধর্ষণ করছে এবং গালে দুইটা চড়ও মেরেছেন নাকি। 
তালুকদারঃ কিরে অমল কি কয়। 
অমলঃ নানা চেষ্ঠা করছি করবার লিগা করীি নাই তো। 
তালুকদারঃ কিরে রাজীব এত ছোট পোলা হইয়া এইটা কি করবার গেছস। 
রাজীবঃ দেখেন না বাবুতো রিয়াই দেয় না আমি নাকি ছোট কিন্তু যখনই বয়েসর দোষে আকাম করছি তখনি বিচারও শুরু হইয়াগেছে। 
তালুকদারঃ রূপেশ বিয়া দেও না কে দুই পাঠারে। বিয়ার স্বাদ যখন ধরছেই বিয়া দিয়া দিলে আরতো এই কাম হইতই না আবার নেশার লিগা খরচও কমত নাইলে পোলাপাইনরে খাওয়াইতো কেমনে। 
রূপেশঃ মেয়ে তো দেখতাছি। 
রাজীবঃ এ এ মিছা কথা কয় সাহেব। 
অমলঃ (কাদাঁর ভাব নিয়ে) হ সাহেব কালকে ইয়াবা খাইয়া টাল হইয়া এই কাম করবার লিগা গেছিলাম কিন্তু করি নাই। 
রূপেশঃ হ হ মাতাল হইয়া ধর্ষণ করলেও দোষের কি দোষটাতো মাতলামির তাই সাজা শুধু ইয়াবা খাওয়ার হওয়া উচিত। 
রাজীবঃ বাংলা মালও খাইছি। 
রূপেশঃ ঐ গাধাঁ চুপ কর। 
কৃপাসিন্ধুঃ তোমাকে কি বললাম রূপেশ। 
রূপেশঃ মাফ করুন মহাশয় ভুল হইয়া গেছে। 
তালুকদারঃ ঠিক কথা মাতাল হইয়া আকাম করলেও তো তেমন দোষের কথা না।তা ৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হোক। 
(শুনেই চোখদিয়ে পানি পরতে থাকে কমলের কিন্তু কিছুই বলে না)

কৃপাসিন্ধুঃ এইটা কি কন মশাই এই আকামের লিগা তো জুতার মালা পড়াইতেই হইব বান্দরগো। 
তালুকদারঃ কথা খারাপ না। 
জয়ন্তঃ মহাশয়ের কাছে আবেদন একটা কথা বলি। 
তালুকদারঃ হ কও। 
জয়ন্তঃ একটা মেয়ের মূল্য ৫,০০০ টাকা হতেই পারেনা জরিমানা ১০০,০০০ টাকা করুন। 
তালুকদারঃ আচ্ছা ২৫,০০০ টাকা করা হলো। 
কৃপাসিন্ধুঃ না এটা হয় না মশাই। 
তালুকদারঃ তালে এই কথাই হইল ৫০,০০০টাকা জরিমানা ও মেয়েটির জুতার মালা গলায় পড়ানো যেহেতু তারা মাতাল ছিলো কিন্তু মাতাল না থাকলে ১০০ বেতের ও মাথা মুন্ডন করে ঘোল ঢালার ব্যাবস্থা থাকত। 
(শুনে সবাই মেনে নেয় কিন্তু জেলে কমল ভাবে মাতাল হয়ে যদি তালুকদারের বউকে ধর্ষণ করত তাহলে কি এভাবেই ছেড়েদিত।তারপর তাদের জুতার মালা পড়ানো হয় এবং ৭দিনের মধ্যে টাকা পরিষদের কথা হয়।আর কমল মেয়েটির অভিমান ও কষ্টের কথা ভেবে জড়িয়ে ধরে বলে যাও বাবার সাথে নিজের বাড়িতে কিছুদিন থেকে এসো বলে ২,০০০টাকা দেয় ভাড়ার জন্য। ) 


দ্বাদশ দৃশ্য



(তাদের বিদায় দিয়ে ৬:৩০টার দিকে নিজে নিজেকেই অভিমান শোকে বলছে) 
জেলেঃ এ আমার কি হলো গো আমার বউয়ের মাত্র মূল্য ৫,০০০টাকা যার জন্য মোর জান কুরবান।আমি ন্যায় বিচার চাইগো ভগবান বলেই ঘরের গণেশঠাকুরের কাছে মিনতি করে। 
(হঠাৎ মাথায় আসে সংগ্রাম করতে গিয়ে জীবন দিতেই হয় যেমন সালাম,বরকত তারাঁ মৃত্যুর মধ্যেদিয়েই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তাই আমিও জীবন দিলেই রাতারাতি খবর টিভি পত্রিকায় প্রকাশিত হবে অনেকেই তা নিয়ে প্রবন্ধ নাটক গান লিখে এর সুষ্টু বিচার করবেই আমি পারি নাই তা কি হয়েছে আমার দেশের ভালোলোকেরা তার বিচার অবশ্যই করবে মনববন্দন করবে মিটিং মিছিল করবে) 
জেলেঃ ভাবতে ভাবতে বলে ওঠে হায়রে আত্মহত্যা তো মহাপাপ তালে তো নরক নিশ্চিত। 
(কিন্তু পথ নেই ক্ষমতা নেই তো জীবন দিয়েই শেষ চেষ্টা করে যাবো বলেই গোয়াল ঘর থেকে রশি এনে ফাসঁ তৈরি করে) 
জেলেঃ (জীবনের শেষকথা) হে ভগবান মাফ করো.... 
(বলেই টুলে উটে গলায় ফাসঁ লাগিয়ে টুল পা দিয়ে ফেলে দেয় এবং কাতরাতে কাতরাতে মৃত্যুমুখে পতিত হয়) 


ত্রয়োদশ দৃশ্য



(আধ্যাত্মিক জগতের শুরু চারপাশ অন্ধকার কমল কালো পোশাক পরিহিত নিজেকে আবার দেখতে পেয়ে ভয়ে কাতর হয়ে গেছে।ভগবানের আওয়াজ আসল তুমি এখন নরকে যাচ্ছ।) 
জেলেঃ ভগমান আমাকে একটু সুযোগ দিন কিছু চাওয়ার মানুষের কাছে। 
ভগবানঃ হ্যাঁ দেয়া হলো। 
জেলেঃ ধন্যবাদ। 
(মাথা নুয়েঁ)

(জেলের কালো ডানা প্রসারিত করে নিম্নের পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে) 

'' হে জগতের মহীয়ান মানুষ জগতের মোহ ছেড়ে দিলাম নিজের বংশও আর বাড়ল না শুধু তোমাদের কাছে আবেদন তাদের মৃত্যুদন্ড শাস্তি দিও।(কাদঁতে কাদঁতে) তোমরা ছেড়ে দাও নেশাদার দ্রব্য ইয়াবা,বাংলা মদ,বিদেশী মদ না হয় আমার মত আরও অনেকে সম্ভ্রমের সাথে সাথে জীবনও হারাবে তোমরা নিজেরাও বুঝবে না কখন তাদের ক্ষতি করলে।আর তোমরা যে যে ধর্মের অনুসারী তাকে মেনে চলো বিশ্বাস করো নইলে তোমাদের মনে কোনো মানবতাই রইবে না।ভগবান বল আর আল্লাহ বলো তিনি তো একজনই সৃষ্টিকর্তা তাকে বিশ্বাস করো অবিশ্বাসই তোমাদের কুপ্রবৃত্তিতে নিয়োজিত করে।আর কেউ জেনো আত্মহত্যা করো না নইলে আমার মত তোমাদের জন্যেও নরকের পথ খোলা হবে।'' 


চতুর্দশ দৃশ্য



(বাস্তব জগৎ) 

নজরুলঃ কমল দা,কমল দা জালটা দেও তোমার আজকে যাওয়া লাগব না মাছ মারতে তোমারটা আমিই মাইরা দেই। 
(ঘরের দরজা খুলতেই নজরুল দেখে আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে কমল দা) 
নজরুলঃ (দেখেই সজোরে) আল্লাহ.. একি করছে কমল দা। 
(তারপর ফোন করে মেয়েকে এবং মেয়ে তার বাবাসহ ফেরৎ আসে রাস্তা থেকেই) 
জেলেনীঃ এ-কি-হলো-গো-আমার(বামদিকে খাটের উপর বালিশের নিচে দেখে একটা চিঠি)।
(চিঠি খুলে পড়ে)

''ওগো প্রিয়,আমার জীবন থাকতে যা করতে পারলাম না আমার মৃত্যুর পর লাশটা তা করার চেষ্ঠা করিবে।বড়ই ভালোবাসিতাম তোমায় তাই বোধহয় সইল না।ছেড়ে চলে যাচ্ছি জানিনা বাঙ্গালীর মন আমার মৃতলাশ দেখেও করুণা করে তাদের মৃত্যুদন্ড দিবে নাকি এদের মন এতই পাষাণ যে অর্থের বিনিময়ে নীতিবিরোধী কাজ করবে।ভালো থেকো বিদায়...
ইতি
তোমার প্রিয়
কমল সরকার'' 






ট্যাগসমূহঃ #ইজ্জতহরণ, #গৃহবধুকে ধ্বর্ষণ, #ধর্ষণেরগল্প, #ধর্ষণের কাহিনী, #বাস্তব ধর্ষণ, #বৌদিকে ধর্ষণ, #ধর্ষণের বিচার চাই, #আত্মহত্যা,;
লোকেশন: Bangladesh

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
যাযাকাল্লাহু খাইরান (আল্লাহ আপনাকে উত্তম পুরষ্কার দান করুক)

Message

এখান থেকে কপি পেষ্ট করার অনুমতি দেয়া হলো আমার নাম ও এই ব্লগের রেফারেন্স সহ কারণ ইসলাম প্রচারই উদ্দশ্য।

Copyright © King Fahim Published By Blogger Templates20 | Powered By Blogger

Design by Anders Noren | Blogger Theme by NewBloggerThemes.com