'' সত্যের সাথে শান্তির পথে ''

শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

এই ব্লগের একজন এগনোস্টিক(ইশ্বর বা আল্লাহ সম্পর্কে সন্দিহান) ভাই(এবং অভ্র) এর আল্লাহ সম্পর্কে সাংঘাতিক প্রশ্নের উত্তরে...

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৮ 
প্রশ্ন করেছেন (এখানে লিন্ক ) অথবা নিম্নে দেখুনঃ 

প্রশ্নঃ যখন M.C.Q পরীক্ষা দিতেন তখন 
স্যার তো জেনে শুনেই আপনাকে তিনটি 
ভুল উত্তর এবং একটি সঠিক উত্তর 
দিয়ে চারটি অপশন দিতেন যাতে 
আপনাকে পরীক্ষা করতে পারেন আপনি 
সঠিকটা দাগান নাকি না এতে আপনি কি 
বলবেন যে স্যার কেনো ভুল উত্তর 
গুলো দিয়েছিলেন যখন জানেনই এগুলো 
ভুল।আর যে বেশি সঠিক উত্তর দিতে 
পারবে সেই তো স্যারের কাছে প্রিয় 
হবেন এবং ১ম হলে তো পুরষ্কার ও 
রয়েছে। // 
but the problem is the teacher doesn't know who really will pass the exam and who will fail... But as ur references say and we all know that Allah is well-known about everything, then if he knows who will pass and who will fail then for what the exam is? Can u clear this thing? 
(নিচে ট্রান্সলেট রয়েছ) 
কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে শিক্ষক তো আসলে জানে না কে পরীক্ষায় পাস করবে আর কে ফেল...কিন্তু আপনার রেফারেন্সগুলোর (মাধ্যমে)এবং আমরা সকলেই জানি যে আল্লাহ সবকিছুই জানেন কে পাস করবে আর কে ফেল তবে পরীক্ষা কিসের জন্য? আপনি কী পরিষ্কার করতে পারবেন?


উত্তরঃ ভাই @এবং অভ্র একটি সহজ প্রশ্ন এবং বহু পুরাতন প্রশ্ন করেছেন যা ইতিপূর্বে ৬৬৫+ সালের দিকেই কাদেরিয়া,খারেজি ও রাফেজিরা করেছিল এবং বিভ্রান্ত হয়েছিলো যদিও অনেকে পরে বুঝেছিল ইমাম হানিফা(রহ) ও ইমাম মালেক(রহ) এর যুক্তিদ্বারা।অতএব ভাই @এবং অভ্র আপনি মনে কইরেন না যে অনেক কঠিন প্রশ্ন করেছেন। 
এই প্রশ্ন আমার মনেও জেগেছিল এবং উত্তর অনেক আগেই পেয়েছি।সেযুগে তারা সেযুগ হিসেবে মানানসই উত্তর দিয়েছিলেন আর আমি এযুগ অনুযায়ী উত্তর দিব। 

এখন মুলকথায় আসি, 
১়আপনি বলেছেন শিক্ষক তো জানেন না সব।আচ্ছা ঠিকাছে,একটি ছেলে কখনই কলেজে ম্যাথ পারেনা এবং কলেজও ফাঁকি দেয় এমনকি সে ক্যালকুলাস পারা তো দূরের কথা উচ্চরণও করতে পারে না ঠিকমত।এখন তো স্যারসহ সকলেই নিশ্চিত যে সে গণিতে ফেল করবেই।এবার ম্যাথ পরীক্ষার দিন ছেলেটি পরীক্ষার হলে ডোকার সাথে সাথেই কী স্যার বলবেন তুমি পরীক্ষায় ফেল করেছ এবং এই নেও দশটা বেতের বারি যা আমি বলেছিলাম ফেল্টুদেরকে দিব। তখন সে ছেলেটি কি বলবে আচ্ছা ঠিক আছে নাকি বলবে আমি তো পরীক্ষাই দিলাম না আমার প্রতি এমন অবিচার কেন করছেন আপনি তো সুবিচারক নন। 

২়তাই স্যার জানা সত্তেও একটি সিস্টেমেটিক পদ্ধতিতে আগাবেন এবং বিচার করবেন। শিক্ষক আগে পরীক্ষা নিবেন,তারপর মার্কিং করবেন এবং তারপর মার্কশীট তার হাতে দিয়ে বলবেন এই নেও দশটা বেতের বারি যা আমি বলেছিলাম ফেল্টুদেরকে দিব।।তাহলে এভাবে বিচার করায় স্যারের কোনো দোষ নেই এবং তিনি যে জানতেন সেজন্য ছেলেটি ফেল করেনি বরং ছেলেটি নিজের কৃতকর্মের জন্যই সে ফেল করেছে অর্থ্যাৎ বাসায় এবং কলেজে ম্যাথ না করায় হলেও খাতায় কিছু লিখতে পারেনি। 

৩়এভাবে সর্বজ্ঞানী আল্লাহ যেদিন আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করছেন সেদিনই আল্লাহ যদি তার এলমে গায়েবের জন্য জান্নাতিদের জান্নাতে এবং জাহান্নামীদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করতেন তাহলে তারা বলত আমরা তো কিছুই করলাম না আমাদের কেনো আগুনে পোড়ানো হচ্ছে আল্লাহ তো সুবিচারক নন।(নাউজুবিল্লাহ) যেখানে আল্লাহ বলেন'তোমার প্রভু কারো সাথে একটুও অবিচার করবেন না। ১৮:৪৯' আল্লাহ আরও বলেন 'সেদিন সকলেই আমার বিচার মেনে নেবে তাদের কৃতকর্মের দরুণ।' তাহলে স্পষ্ট বোঝা গেল আল্লাহ জানেন বলে আমরা খারাপ কাজ করিনা বরং আমরা যে খারাপ কাজ করি তাই আল্লাহ জানেন এমনকি তা লিখেও রেখেছেন বহু আগে আল্লাহর মহত্বের দরুণ। 

৪়আবার আপনার মার মনে করেন ক্যানসার হয়েছে এখন একজন বিজ্ঞ ডাক্তার বললেন আর টাকা পয়সা খরচ করে লাভ নেই ভাই আর একমাস বাঁচবে বা ছয়মাস বাঁচবে।আপনি তাই করলেন এখন একমাস পর বা ছয় মাস পর ঠিকই আপনার মারা গেলেন এখন কি বলবেন ডাক্তারটা খারাপ নাকি বলবেন ডাক্তারটা খুব ভালো ডাক্তার ভাই ৩০দিন সময় দিয়েছিল ৩১ দিনও হয়নি ভাই বা ছয়মাস সময় দিয়েছিল সাতমাসও হয়নি ভাই।আর আপনি সবাইকে আরও বলবেন যাও ভাই এই ডাক্তারই সেরা।ঠিক তেমনই আল্লাহ সব জানেন এবং বলেন'দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন।' [সূরা আল বাকারাঃ২৫৫(আয়াতুল কুরসি)] তিনি সব জানেন দেখে কি আমরা তার অপ্রসংশা করব নাকি প্রসংশা করব? অবশ্যই তার প্রসংশা করব এবং তিনি সব জানেন বলেই আমার বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়েছে। 

৫়আমরা তো পরীক্ষার্থী আর আমরা এটাও জানি না যে আমরা জান্নাতী না জাহান্নামী তাই আমাদের পরীক্ষায় পাস করার প্রস্তুতি নিতে হবে তাই আল্লাহ বলেন 'আমি জানি আর তোমরা জান না অতএব সৎকর্ম করে যাও'।তাই ঐ ছেলেটার মতো বাসায় না সময় নষ্ট করে 'কুরআন পড়তে হবে,হাদীস চর্চা করতে হবে এবং সেই জ্ঞান সালাতে,যাকাতে,সাওমে,হজ্জে প্রয়োগ করে খাতা ফুল ভরতে হবে যাতে ৩০দিন পারি এবং জাহান্নামের শাস্তি না ভোগ করতে হয়' নইলে ঐ ছেলের মতো অবস্থা হবে। 


[আল্লাহর সাথে স্যারের বা ডাক্তারের তুলনা মানায় না,কিন্তু বুঝানোর জন্য অ্যাড করা হয়েছে] 
লোকেশন: Bangladesh

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
যাযাকাল্লাহু খাইরান (আল্লাহ আপনাকে উত্তম পুরষ্কার দান করুক)

Message

এখান থেকে কপি পেষ্ট করার অনুমতি দেয়া হলো আমার নাম ও এই ব্লগের রেফারেন্স সহ কারণ ইসলাম প্রচারই উদ্দশ্য।

Copyright © King Fahim Published By Blogger Templates20 | Powered By Blogger

Design by Anders Noren | Blogger Theme by NewBloggerThemes.com