'' সত্যের সাথে শান্তির পথে ''

বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

বাঙ্গালীর আসল ভাষা কি বাংলা,হিন্দী,নাকি উর্দু একটি বিশ্লেষণ:


হিন্দীঃ


উর্দুঃ


বাংলাঃ


করুন বাস্তবতাঃ 
এক শিক্ষক তাঁর তিন ছাত্রের হাতে কিছু
মরিচ দিয়ে বললেন, এই বিড়ালটিকে মরিচ খাওয়াও।
প্রথম ছাত্র মরিচ বিড়ালের মুখের কাছে নিয়ে গেল
বিড়াল গন্ধ শুঁকেই মুখ ফিরিয়ে নিল।

দ্বিতীয় ছাত্র দুধের সাথে মরিচ মিশিয়ে
দিল, বিড়াল গন্ধ পেয়ে দুধই খেলনা
তৃতীয় ছাত্র জোর করে ধরে বিড়ালকে
মরিচ খাওয়াতে গিয়ে নখের আঁচরে আহত
হল
ছাত্ররা বিড়ালকে মরিচ খাওয়াতে ব্যর্থ
হলে শিক্ষক নিজের হাতে কিছু মরিচ
নিয়ে বিড়ালের পেছনে ডলে দিলেন
মরিচের জ্বালা সইতে না পেরে বিড়াল
নিজেই তার জিহ্ববা দিয়ে মরিচ চেটে
খেতে শুরু করল, আর ঘুরে ঘুরে নাচতে
লাগল
তেমনি পাকিস্তানও আমাদের সামনে
দিয়ে উর্দু খাওয়াতে চেয়েছিল কিন্তু আমরা
খাইনি, আর ইন্ডিয়া আমাদের পিছনে
হিন্দী ডলে দিয়েছে টিভি চ্যানেল দিয়ে।




আর এখন আমরা বাধ্য হয়েই হিন্দী গান গাই,হিন্দী গানে নাচি আর হিন্দি দিয়েই বিনোদন করি বাংলা ভাষাকে বাদ দিয়ে।এমনকি আমরা হিন্দীর জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত।মজা মনে করলেন না না মজা না বাঙ্গালীরা এতই বোকা যে,'পাখি' নামক পোশাক না পাওয়ার কষ্টে আত্মহত্যা করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক কিশোরী ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার 'নূরজাহান খাতুন' নামের আরেক কিশোরী।
এগুলো শুনে অবাক হতে হয়। 

স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলার আগ্রাসনে ধ্বংস হচ্ছে নীতি নৈতিকতা ও সুস্থ সংস্কৃতি।আমাদের ঝি-বৌরা এক সময়ে শ্বাশুড়িদের মায়ের মতো শ্রদ্ধা করত, শ্বাশুরি মমতা দিয়ে পুত্র বধুকে মেয়ের মতো আপন করে নিত, পিতা-পুত্রের সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতো, সকলেই যৌথ পরিবারে বসবাস করতে পছন্দ করত, পারিবারিক আয়োজনে বিবাহ বন্ধন হতো, আত্মার বন্ধনে আত্মীয় হতো। কিন্তু এখন লাভ-ম্যারেজ, বিয়ে করে পালিয়ে বেড়ানো, পাখি ড্রেস কিনে না দেয়ায় আত্মহত্যা, পাখি ড্রেস না দেয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ, 'ঐশীর' মতো মেয়ের হাতে বাবা-মা খুন, পরকীয়া, বিবাহ ছাড়া বাবা-মা হওয়ার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা নিয়মিত ঘটছে।

এখানেই শেষ নয়। ‘পাখি’ ড্রেস নিয়ে বিবাহবিচ্ছেদ, আত্মহত্যা ঘটনা চলেছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশে এই চ্যানেল-দুটি এখন প্রবল সমালোচিত। স্টার জলসা ও জি বাংলায় প্রচারিত কয়েকটি টিভি সিরিয়াল এ দেশের যুব সমাজে ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ।আরেক আম ব্যবসায়ী আব্দুর সাত্তারের মেয়ে 'হালিমা' এবারের ঈদে বাবার কাছ থেকে ‘পাখি’ থ্রি-পিস কিনে দেওয়ার আবদার করে। ড্রেসটি কিছুটা থ্রি-পিসের মতো হলেও গলার দিকটা বিশেষভাবে কাটা। এছাড়াও হাফ স্লিভের সুতির এই ড্রেসটিতে রয়েছে কিছু বিশেষ কারুকার্য।


‘বোঝে না সে বোঝে না’ ধারাবাহিকটির কেন্দ্রীয় চরিত্র পাখি-র পোশাক এবার ঈদে বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। হালিমার বাবা তাকে কয়েকদিন পর জামাটি কিনে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু জামা কিনে দিতে দেরি হওয়ায় গত ৯ জুলাই কিশোরী 'হালিমা' নিজের ঘরে অভিমানে গলায় ফাঁস দেয়।

পাখি জামা কিনে না দেয়ায় অভিমান করে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সে পার্বতীপুরের জামতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী।
জেসমিন উপজেলার মথমথপুর ইউনিয়নের খোড়াখাই সরদারপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের কণ্যা।

এলাকাবাসীরা জানায়, পাখি জামা কিনে না দেয়ায় অভিমান করে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ীর সবার অজান্তে নিজ ঘরের বরগায় ওড়না পেচিয়ে 'জেসমিন আরা' (১৭) আত্মহত্যা করে।

প্রকৃত মানুষ হওযার জন্য সুস্থ বিবেকের বিকল্প নেই। হিন্দি-উর্দু- চলচ্চিত্র আমদানি ও প্রদর্শেনের বিরুদ্ধে অবস্থানের পূর্বে নগ্ন-অশ্লীল-নারীদেহ প্রদর্শন, যৌন সুড়সুড়ি , যৌন আবেদনমূলক পোস্টার ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া জরুরী।তাই আমাদের সচেতন হতে আপনার মেয়ে এবং স্ত্রীকেও এই চ্যানেলগুলো দেখতে বাধাঁ দিন নয়তো বা সেও 'ঐশী' বা 'হালিমা' হয়ে উঠবে না তার গ্যারান্টি কী??

আমার অন্যব্লগ দেখতে ক্লিকঃ http://www.somewhereinblog.net/blog/King55Fahim555



ট্যাগঃ ইন্ডিয়ান ভারতীয় চ্যানেল বাংলাদেশ বাংলাদেশীকে নষ্ট শেষ করে ফেলল, দেশী সংস্কৃতি নষ্ট করল ভারতীয় চ্যানেল ,আত্মহত্যার কারণ ইন্ডিয়ান ভারতীয় চ্যানেল, বেচেঁ থাকেন ভারতীয় চ্যানেল থেকে, বাংলা ভাষার পরিচয়, বাংলা ভাষা, মুক্তিযুদ্ধের কারণ উর্দু ভাষা, হিন্দী উর্দু ভাষার রহস্য কি কেমন পরিচয়।
লোকেশন: Bangladesh

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
যাযাকাল্লাহু খাইরান (আল্লাহ আপনাকে উত্তম পুরষ্কার দান করুক)

Message

এখান থেকে কপি পেষ্ট করার অনুমতি দেয়া হলো আমার নাম ও এই ব্লগের রেফারেন্স সহ কারণ ইসলাম প্রচারই উদ্দশ্য।

Copyright © King Fahim Published By Blogger Templates20 | Powered By Blogger

Design by Anders Noren | Blogger Theme by NewBloggerThemes.com