লিখেছেনঃ KING FAHIM (তারিখঃ বৃহঃ, ২৬/১১/২০১৫ - ১৯:৩৩)
ট্যাগসমূহঃ #হিন্দু মুসলিম বিতর্ক, #মুর্তি পূজার ভন্ডামি, #হিন্দু মুসলিম বিবাদ, #সাম্প্রদায়িকতা, #দ্বন্দ্ব,
#হিন্দুমু সলিমের লড়াই, #মুর্তি পূজার সঠিক ইতিহাস, #মুর্তি পূজার ইতিহাস, #গোড়া হিন্দুর সাথে যুক্তি, #ইসলামের জয় হবেই, #ইসলামই সত্য, #হিন্দু মুসলিম ঝগড়া, #রেষারেষি,;
লেখক শাহরিয়ার কবির এর একটি তথ্যচিত্র ''জিহাদের প্রতিকৃতি'' বা ''PORTRAIT OF JIHAD A documentary by Shahriar Kabir'' দেখার পর নিচে এক মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দু ভাই অরুণ বাঙালির সাথে বিতর্কে লিপ্ত হই কারণ একবছর ধরে কেউ তার জবাব দেয় নাই।আমার Md Hasan Imam নামক আইডি দিয়ে বিতর্কটা করেছি এটা আমার বাবার আইডি। অনেক তথ্যবহুল বিতর্ক নিশ্চয়ই নতুন কিছু পাবেনঃ
অরুণ বাঙালি হিন্দু 1 year ago
শাহরিয়ার কবির মশাই, এই তথ্যচিত্রে হিন্দুদের উপর বাংলাদেশী জিহাদিরা যা নৃশংসতা চালাচ্ছে, সেই নিয়ে কোনও উল্লেখ নেই কেন ? আপনি এটা কী ভাবে ভুলে যান যে বঙ্গভঙ্গ হয়েছিল, মূলত হিন্দুদের পূর্ব বঙ্গ থেকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে। আমরা আজও ভুগছি। আমাদের পরিকল্পিতভাবে নির্মূল করা হয়েছে গত ৬৪ বছর ধরে। আপনারা তখন কোথায় ছিলেন ? ইসলামি সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদের মূল কারণ হল ইসলাম "ধর্ম" (আমি বলি "অধর্ম"), কুরান, শারিয়া আর হদিশে কাফির আর মহিলাদের সম্পর্কে যা বিদ্বেষমূলক কথা লেখা আছে, সেই বিদ্বেষমূলক কথাগুলি ইন্ধন যোগায়, ইসলামি সন্ত্রাসবাদকে। ইসলাম আর ইসলামি সন্ত্রাসবাদকে পৃথক চোখে দেখা হল এক ধরনের ভণ্ডামি। আপনার আর আমার পার্থক্য কেবল একটি, আপনি ইসলামি সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদের নিন্দুক, আমি ইসলামের নিন্দুক।
বাঙালি সংস্কৃতি হল হিন্দু মহাজাতির সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এক কালে বাঙালি জাতি সমেত সব ভারতীয়রা হিন্দু ছিলেন,অর্থাৎ সনাতন ধর্মাবলম্বী ছিলেন। শৈব,বৈষ্ণব,শাক্ত,একেশ্বরবাদ,সর্বেশ্বরবাদ,শিখ,বৌদ্ধ,জৈন,হিন্দু পুনরুত্থান,নিরীশ্বরবাদ,আদিবাসী ধর্ম,ইত্যাদি, যেগুলি ভারতভূমিতে উত্পন্ন হয়েছিল তাকে সমষ্টিগতভাবে হিন্দু সনাতন ধর্ম বলা হয়।
ইসলাম ধর্ম, ইসলামি সংস্কৃতি হল আরব দেশের ধর্ম আর সংস্কৃতি। ভারতীয় সংস্কৃতি হল হিন্দু সংস্কৃতি, একিভাবে বাঙালি সংস্কৃতি হল হিন্দু মহাজাতির সংস্কৃতি। অধিকাংশ বাঙালিরা আজকে মুসলিম, কিন্তু তাঁদের মুসলিম পরিচয় আর বাঙালি পরিচয় হল পরস্পরবিরোধী। ইসলামি পরিচয় আর বাঙালি পরিচয় মধ্যে কোনও মিল নাই। বাঙালিয়ানা হল হিন্দুত্বের বহিঃপ্রকাশ। বাংলা ভাষা হল হিন্দুদের ভাষা, সংস্কৃত থেকে পরোক্ষ ভাবে উত্পন্ন আর প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত। পয়লা বৈশাখ হল বাঙালি হিন্দুদের পঞ্জিকা, ইসলামের সঙ্গে এর কোনও মিল নেই।
Reply ·
Md Hasan Imam 1 day ago
+অরুণ বাঙালি হিন্দু পঞ্জিকাটা তৈরি হয়েছে আকবর এর সময় তিনি নিজেই এর পৃষ্ঠপোষক।
Reply ·
অরুণ বাঙালি হিন্দু 1 day ago
+Md Hasan Imam না, বাঙালি হিন্দুদের পঞ্জিকা সাতবাহন/শালিবাহন শক সাম্রাজ্যের সময় থেকে নেওয়া হয়েছে। ইসলামের তখন উত্তপত্তিও হয়নি।
Reply ·
Md Hasan Imam 1 day ago
+অরুণ বাঙালি হিন্দু ও তালে আদম হাওয়া হিন্দু ছিলেন? মুসলিম নয়।
Reply
অরুণ বাঙালি হিন্দু 1 day ago
+Md Hasan Imam আপনাকে কুরান বলে, যে আদম আর হাউয়া হল প্রথম মানুষ। কুরানের আগে একি কথা বাইবেলেও উল্লেখ করা আছে। আমাকে বিষ্ণু পুরাণ বলে যে এই পৃথিবীর প্রথম মানুষ হলেন মনু। আমার হিন্দু ধর্মের পুরাণ আপনার কুরান থেকে ন্যূনতম ৫০০০ বছর পুরাতন আর বাইবেল থেকে ন্যূনতম ২০০০ বছর পুরাতন। হিন্দুধর্মের মতে পৃথিবীর আদি পুরুষ হলেন মনু যার পিতা ছিলেন পরমপিতা সর্ব স্রষ্টা ব্রহ্মা।মনুর বংশধরদেরই আমরা সংস্কৃত,বাংলায়,হিন্দি এবং বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় মনুষ্য,মানব,মনুজ আর মানুষ বলি। আদম থেকে এসেছে আদমি শব্দটি যেটা পুরোপুরি একটা আরবি শব্দ অর্থাৎ বিদেশী শব্দ।
বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন আদি পুরুষের উল্লেখ করা হয়েছে। কোনটা সত্যি তা এখনও পর্যন্ত যাচাই করা যায়নি। তবে এটা অনস্বীকার্য সত্য যে হিন্দু সনাতন ধর্ম হল 'ভারতীয়' আর ইসলাম হল মধ্য প্রাচ্যের সেমিটিক ধর্ম। অধিকাংশ ইতিহাসবিদদের মতে হিন্দু সনাতন ধর্মের জন্মদাতা হল বৈদিক ধর্ম। বৈদিক ধর্ম ইসলাম থেকে অন্তত ১০০০০ বছর পুরাতন। অখণ্ড ভারতবর্ষের সঙ্গে ইসলামের কোন মৌলিক সম্পর্ক নেই, কারণ ইসলাম হল একটা বিদেশী ধর্ম যেটা ইসলামি অত্যাচারীরা নিজেদের ৬০০ বছরের শাসনকালে হিন্দুদের উপর চাপিয়ে ছিলেন। আপনি বাঙালি হয়ে, আপনার নাম আরবি ভাষায়, আর আমি বাঙালি হয়ে আমার নাম এবং উপনাম দুটোই সংস্কৃতে,কারণ আমি আমার পূর্ব পুরুষদের ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে অনুসরণ করছি, আর আপনি বিদেশী আক্রমণকারীদের ধর্ম অনুসরণ করছেন এবং তাঁদের পরিচয় নিজের উপর চাপিয়ে নিজের অস্তিত্বকে হাস্যকর করে দিচ্ছেন। যে আরবদের সাথে আপনার কোনও সম্পর্ক নেই,তাঁদের নাম রাখছেন কেন ? তাহলে নিজেই ভাবুন কে ঠিক আর কে ভুল ?
Reply ·
Md Hasan Imam 1 day ago
+অরুণ বাঙালি হিন্দু ভাই, আমার বংশের নাম ''সরকার'' আর আমার 'জমিদার দাদা হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছিলেন' তাই আমরা সবাই মুসলিম হয়েছি অবশ্য তিনি না হলে আমি নিজেই কনভার্ট হতাম বোধহয় কারণ মুর্তি পূজা আমার দ্বারা সম্ভব না আর ৩৩ কোটি দেবতাকে সন্তুষ্ট করাও আমার সম্ভব না। তাই আপনাকেও ইসলাম ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছেড়ে দিয়ে এটা গ্রহণ করুন নইলে আগুনের অপেক্ষা করুন যা আপনি এখন মুর্তির জন্য অবিশ্বাস করছেন। আর মনুর কথা বললেন উনি তো একা বসবাস করতেন না একটা ছোট গোত্র নিয়ে তাই অনেকে বলে থাকেন তিনি হচ্ছেন নূহ(আ) আর তার সময়েই পৃথিবীর অনেক মানুষকে আল্লাহ বন্যায় ধ্বংস করেছিলেন এবং প্রথম মানবতৈরি নৌকায় বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি ও তার সামান্য কিছু লোক পরে তার মৃত্যুর পরই প্রথম মুর্তি পূজা শুরু হয়।নিচে বর্ণিত হলোঃ
আদম (আঃ)-এর সময়ে ঈমানের সাথে শিরক ও কুফরের মুকাবিলা ছিল না। তখন সবাই তওহীদের অনুসারী একই উম্মতভুক্ত ছিল। তাঁর শরী‘আতের অধিকাংশ বিধানই ছিল পৃথিবী আবাদকরণ ও মানবীয় প্রয়োজনাদির সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু কালের বিবর্তনে মানুষের মধ্য শিরকের অনুপ্রবেশ ঘটে। নূহের কওম ওয়াদ, সুওয়া‘, ইয়াগূছ, ইয়াঊক্ব ও নাস্র প্রমুখ মৃত নেককার লোকদের অসীলায় আখেরাতে মুক্তি পাবার আশায় তাদের পূজা শুরু করে। এই পূজা তাদের কবরেও হ’তে পারে, কিংবা তাদের মূর্তি বানিয়েও হ’তে পারে। মুহাম্মাদ ইবনু ক্বায়েস বলেন, আদম ও নূহ (আঃ)-এর মধ্যবর্তী সময়কালের এই পাঁচজন ব্যক্তি নেককার ও সৎকর্মশীল বান্দা হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তাঁদের মৃত্যুর পর ভক্ত অনুসারীগণকে শয়তান এই বলে প্ররোচনা দেয় যে, এইসব নেককার মানুষের মূর্তি সামনে থাকলে তাদের দেখে আল্লাহর প্রতি ইবাদতে অধিক আগ্রহ সৃষ্টি হবে। ফলে তারা তাদের মূর্তি বানায়। অতঃপর উক্ত লোকদের মৃত্যুর পরে তাদের পরবর্তীগণ শয়তানের ধোঁকায় পড়ে ঐ মূর্তিগুলিকেই সরাসরি উপাস্য হিসাবে পূজা শুরু করে দেয়। তারা এইসব মূর্তির অসীলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করত’।;আর এভাবেই পৃথিবীতে প্রথম মূর্তিপূজার শিরকের সূচনা হয়।ইমাম বুখারী (রহঃ)বর্ণনা করেন ঐ লোকগুলি; হযরত নূহ (আঃ)-এর যুগের নেককার ব্যক্তি ছিলেন। তাদের মৃত্যুর পর শয়তান তাদের অনুসারীদের এই মর্মে ধোঁকা দিল যে, এঁদের বসার স্থানগুলিতে এক একটি মূর্তি বানাও ও তাদের নামে নামকরণ কর। লোকেরা তাই করল। ...এই মূর্তিগুলি পরবর্তীকালে আরবদের মধ্যেও চালু ছিল। ‘ওয়াদ’ ছিল বনু কালবের জন্য দূমাতুল জান্দালে, সুওয়া‘ ছিল বনু হোযায়েলের গোত্রের জন্য, ইয়াগূছ ছিল বনু গুত্বায়েফ গোত্রের জন্য জুরুফ নামক স্থানে, ইয়া‘ঊক্ব ছিল বনু হামদানের গোত্রের জন্য এবং নাস্র ছিল হিমইয়ার গোত্রের বনু যি-কালা এর জন্য’।[14]ইবনু আবী হাতেম-এর বর্ণনায় এসেছে যে, ‘ওয়াদ’ ছিল এদের মধ্যে প্রথম এবং সর্বাধিক নেককার ব্যক্তি। তিনি মারা গেলে লোকেরা তার প্রতি ভক্তিতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। শয়তান এই সুযোগ গ্রহণ করে এবং লোকদেরকে তার মূর্তি বানাতে প্ররোচনা দেয়। ফলে ওয়াদ-এর মূর্তিই হ’ল পৃথিবীর সর্বপ্রথম মূর্তি, আল্লাহকে বাদ দিয়ে যার পূজা শুরু হয়’।[15]অতএব পৃথিবীর প্রাচীনতম শিরক হ’ল নেককার মানুষের কবর অথবা তাদের মূর্তিপূজা। যা আজও প্রায় সকল ধর্মীয় সমাজে চালু আছে এবং বর্তমানে যা মুসলিম সমাজে স্থানপূজা, কবর পূজা, ছবি-প্রতিকৃতি, মিনার ও ভাষ্কর্য পূজায় রূপ নিয়েছে। উক্ত পাঁচটি মূর্তির মাহাত্ম্য ও তাদের প্রতি ভক্তি লোকদের হৃদয়ে এমনভাবে প্রোথিত হয়েছিল যে, তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এবং পারস্পরিক চুক্তি সম্পাদনকালে তাদের নাম উল্লেখ করত। এতদ্ব্যতীত তারা নানাবিধ সামাজিক অনাচারে ডুবে গিয়েছিল। সম্প্রদায়ের এইরূপ পতন দশায় আল্লাহ তাদের হেদায়াতের জন্য নূহ (আঃ)-কে রাসূল হিসাবে প্রেরণ করেন (আ‘রাফ ৭/৬১)।লিংকঃ http://www.nobiderkahini.at-tahreek.com/2.html#2
Reply ·
অরুণ বাঙালি হিন্দু 20 hours ago
+Md Hasan Imam প্রথমত আমি আপনার দাওয়াতকে অগ্রাহ্য করলাম। হিন্দু হয়ে জন্মেছি এবং হিন্দু হয়েই মরবো। দ্বিতীয়ত আপনি বললেন, যে আমরা হিন্দুরা নাকি মূর্তি পূজা করি এবং সেই জন্য আমরা নরকাগ্নির পাত্র, এবং আপনাদের কুরানি আল্লাহ আমাদের চিরকাল ওখানে জ্বালাবে। এ সব আপনার কুরানের কথা, যা আমি আগেও জানতাম কিন্তু মানি না (আমার ল্যাপটপে ৯টা কুরান আছে, ৩টি উর্দুতে,৩টি ইংরাজিতে আর ২টি বাংলায়)। যেটা আপনি জানেন না, সেটা হল আমরা ওই পরমেশ্বরেরই আরাধনা করি এবং মূর্তি হল কেবল তাঁর প্রতীক চিহ্ন। ৩৩ কোটি দেবী দেবতারা একি পরমেশ্বরের প্রতীক, বলে গীতায় লেখা আছে। আপনি ঈশ্বরকে যে রূপে দেখতে চান,উনি সেই রূপই ধারণ করবেন। হিন্দু ধর্মে নিরাকার নির্গুণ ব্রহ্মের কথা উল্লেখ করা আছে, এবং একি ভাবে সগুণ সাকার ব্রহ্মের কথাও উল্লেখ করা আছে। শিব,বিষ্ণু,ব্রহ্মা,আদি শক্তির বিভিন্ন রূপ এবং অবতার হল ওই সেই একেশ্বরের আরাধনা। ঈশ্বর প্রাকৃতিক নিয়ম দ্বারা বদ্ধ নন, ফলে উনি এক না অনেক তা এক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক। ঈশ্বর হলেন অজ্ঞেয়, তাঁকে নির্ভুলভাবে জানা মানব জাতির পক্ষে অসম্ভব।
হিন্দু ধর্মে ঈশ্বর সম্বন্ধে সব মতামতকেই স্বাগত জানান হয়,সেই কারণেই হিন্দুধর্ম হল বিবিধতার ধর্ম। হিন্দু ধর্মে একেশ্বরবাদ (monotheism), অনেকেশ্বরবাদ (polytheism),সর্বেশ্বরবাদ (pantheism),নিরীশ্বরবাদ (atheism) এবং অজ্ঞেয়বাদ (agnosticism) ইত্যাদি সবই আছে। তবে যেহেতু বর্তমান হিন্দুদের উপর পৌরাণিক কাহিনীর সাংস্কৃতিক প্রভাব অনেক বেশী প্রবল, ফলে অধিকাংশ হিন্দুরা অনেকেশ্বরবাদী অথবা সর্বেশ্বরবাদী মতে বিশ্বাস করেন। আপনার ইসলাম আপনি নিজের কাছে রাখুন, আমাদের উপর আরোপ করবেন না। অন্তত আমরা হিন্দুরা আপনাদের মতো দাম্ভিক নই। আমরা কখনই মিথ্যা অহংকার নিয়ে দাবি করি না যে আমাদের ধর্ম সঠিক আর বাকিদের ধর্ম হল মিথ্যা। আমাদের মতে অহংকার হল মোক্ষপ্রাপ্তির পথে সব থেকে বড়ো কাঁটা।
আপনারা ইসলামের নামে প্রতিদিন নিরীহদের হত্যা করছেন। আপনাদের কুরানের বিদ্বেষমূলক পঙক্তির জন্য তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। এমনিতেই বিশ্বের ৬০টি দেশ ইসলামি সন্ত্রাসে জর্জরিত। আল্লাহ আকবরের নাম নিয়ে আপনারা প্রতিদিন মানবতার বিরুদ্ধে অতি ভর্ৎসনীয় অপরাধ অবিরাম করেই চলেছেন। সেটার জন্য আপনাদের ধর্ম ইসলামকে বিশ্বের সব চেয়ে হিংসাপরায়ণ আর অসহিষ্ণু ধর্ম বলে লোকে আখ্যা দায়। তাঁর সত্ত্বেও আপনাদের লজ্জা হয় না,বরং গর্ব হয়! অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ যদি এমন কুকর্ম প্রতিদিন করতেন,তাহলে নিঃসন্দেহ তাঁদের গভীর মনঃস্তাপ আর অনুশোচনা হত, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল এই যে আপনাদের এ সব বিন্দু মাত্র হয় না। এটাই আমার মতে অশুভ সংকেত এবং পাশবিক প্রবৃত্তির কুলক্ষণ। নূহের ওই গল্পটি আমাদের ভাগবত এবং বিষ্ণু পুরাণে উল্লেখ করা আছে। বিষ্ণুর মত্স্যাবতার এবং রাজা সত্যব্রত/শ্রদ্ধাদেব (বৈবস্বত মনু) ছিলেন ওই কাহিনীর প্রধান দুটি চরিত্র। ইতিহাসবিদদের মতে ওই গল্পটি হিন্দুধর্মের গল্প,যেটা বাইবেলের লেখকরা চুরি করেছিলেন এবং তারপর কুরানের লেখকরা বাইবেল থেকে চুরি করেন। এটার জ্বলন্ত প্রমাণ হল ভাগবত পুরাণ আর বিষ্ণু পুরাণ দুটোই বাইবেল থেকে পুরাতন এবং বাইবেল কুরান থেকে পুরাতন!!! আরবরা সংখ্যা ১২৩৪৫৬৭৮৯০ সব হিন্দুদের চুরি করে ছিলেন। তথাকথিত ইসলামি ঔষধ শাস্ত্র হল গ্রিকদের। ওদের বই থেকে আরবি ভাষায় অনুবাদ করে আরবরা বলল এটা ইসলামি আয়ুর্বিজ্ঞান!!! এমনকি জ্যোতিষ শাস্ত্র,গণিত ইত্যাদি আরবরা হিন্দুদের থেকে চুরি করেছে। অঙ্কে যাকে বলে আলজেবরা তা আসলে বৈদিক ঋষিগণের অবদান। সংস্কৃতে আলজেবরাকে বলে বীজগণিত। ভাষ্যবিদদের মতে বৈদিক সংস্কৃত হল লৌকিক সংস্কৃতের জননী এবং এই দুটি ভাষাই আরবি,হিব্রু,গ্রিক ইত্যাদির থেকে প্রাচীন।
Reply ·
Md Hasan Imam 17 hours ago
+অরুণ বাঙালি হিন্দু ভালোই লাগলো আপনার বিদ্বেষ পড়ে। আপনার ধর্মে ঈশ্বরের পরিচয়ই নেই তাই তো কবি বলেন,'' হরিকে দেখিয়া হরি হরিতে লুকায়।'' মানে সবাই হরি(ভগবান)। আমার কাছেও গীতা,রামায়ণ আছে মাঝে মাঝে পড়ি। আপনাদের হিসেবে ''পুরাণ'' লেখা হয়েছে ''কুরআনে''র ৫০০০ বছর আগে আর বাইবেল থেকে ২০০০ বছর আগে কিন্তু আমাদের আদম আর নূহ নবীই বেচেঁছিলেন ৯৫০ ও ৯৬০ বছর (করে)। আর বাইবেলরও আগে তওরাহ,যবুর কিতাব ছিল। আর প্রথম কলম দ্বারা লিখেছিলেন ইদরীস(আ)(বাইবেলে উল্লেখিত 'ইনোখ' বা 'Enoch'), তার উপর সহীফা নাজিল হয়েছিল তা পুরাণেরও পূর্বে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে পারব কোন গ্রন্থ কার উপর নাজিল হয়েছে কিন্তু আপনাদের ধর্ম হঠাৎ ৫০০০ বছর পূর্বে একগোত্রে উৎপত্তি হলো এবং কে কোন কিতাব লিখেছে তারও কোনো হদিস আপনি দিতে পারবেন না কারণ ব্রাক্ষণরাতো কিতাব পড়তেও দিত না আর সংস্কৃতভাষায় কথা বলতেও দিত না। তাই আমরা মাথা উচুঁ করে বলি ইসলামই একমাত্র সত্যধর্ম।
আর পৃথিবীর বর্তমানে সবচেয়ে নির্জাতিত জাতি রোহিঙ্গা মুসলিম উইকিপিডিয়া অনুযায়ী আর rss হিন্দু জঙ্গি এটা ভুইলেন না। আর আবিষ্কারের জিনিস গুলো আরবরা চুরি করবে কিভাবে কারণ তারা সংস্কৃত জানতই না আর মুসলিম এদেশে আসার পর ফারসি ছিল প্রাতিষ্ঠানিক ভাষা। আর কুরআন যদি চুরির বই মনেই হয় তালে আপনার কাছে চ্যালেন্জ কুরআনের মত একটা বই বানিয়ে নিয়ে ২০০ কোটি অনুসারী বানান, না করল কে এমনিতেই ভারতে হিন্দু কমছে।
আর দাসপ্রথা,লিঙ্গের পূজা,সতীদাহ থেকে রেহাই পেতেই তারা মুসলিমদের কাছে আসতে চায় আর আমরাও বুকে তুলে নিয়েছি এজন্যই তো ভারতে ১৮ কোটি মুসলিম আর আমার দাদার কারণে আমিও।
তা বিদায় ভালোই লাগল চ্যাট করে আর ভুলে জাইয়েন না আমরা মানুষ সে হিসেবে একে অপরের মানবতা দেখানো উচিত। আমার পক্ষ থেকে যথেষ্ট মানবতা পাবেন বন্ধু হাত ফেলে চেয়ে আছি আপনার দিকে মমতা দিন নইলে মুখে লাথি মারুন মাথা পেতে নিব।
বিদায়।
Reply ·
অরুণ বাঙালি হিন্দু 10 hours ago
+Md Hasan Imam আপনার দৃঢ় বিশ্বাস যে কুরান হল একটি অলৌকিক বই, তাঁর কোন প্রমাণ আপনি দিতে পারবেন না, ফলে এটা আপনার ভিত্তিহীন বিশ্বাস। রসুলের উল্লেখগুলো বাদ দিলে,কুরান মোটা মোটি বাইবেলেরই আরবি অনুবাদ। আপনাদের ইসলাম ধর্মের শিকড় ইহুদি ধর্মের সঙ্গে জড়িত। হ্যাঁ আজকের দিনে আপনারা তা অস্বীকার করবেন, এবং ইহুদিদের অমঙ্গল কামনা করবেন, তা আমি জানি কিন্তু এটাই অনস্বীকার্য সত্য। আল্লাহ শব্দটি আরবি খ্রিস্টানরাও ব্যবহার করে, এবং এটা ঐতিহাসিক সত্য যে তাঁরা আরবি মুসলিমদের থেকে প্রাচীন।দাসপ্রথা,নারীদের বোরখায় বন্দি রাখা, সংগীত এবং শিল্পের কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা,অমুসলিমদের উপর অবিরাম অত্যাচার আর বৈষম্যমূলক আচরণ করা। তাঁদের জিম্মি বানিয়ে জীবনটাকে নরকে পরিণত করা ইত্যাদি বহু "গৌরবময়" ইসলামি পরম্পরা আদতে লজ্জাজনক এবং জঘন্য। হিন্দুরা কুসংস্কার দূর করতে অনেক প্রচেষ্টা করেছে এবং তাঁরা সাধারণত শিক্ষিত হলেই কুসংস্কার থেকে মুক্ত হয়ে যান, কিন্তু আপনারা তো মানতেই চান না যে আপনাদের ধর্মে কোন ত্রুটি আছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ কোন জঙ্গী সংগঠন নয়। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ওই সংগঠনেরই সদস্য ছিলেন,শৈশব থেকে। ভারত বা বিশ্বের কোন দেশ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে জঙ্গী সংগঠন বলে চিহ্নিত করেনি। আপনাদের আল কায়েদা,তালিবান,দায়েশ,বোকো হারাম,আল শাবাব,হামাস,লস্করে তইবা,জৈশে মহম্মদ,জামাতে ইসলামি বাংলাদেশ সবই বিশ্বে কুখ্যাত এবং নিষিদ্ধ জঙ্গী গোষ্ঠী বলে চিহ্নিত। এমন আরও অসংখ্য জেহাদি সংগঠন আছে,যারা শুধু মানুষ মারছেন, মহিলাদের জ্বালাচ্ছেন,প্রস্তর বর্ষণ করে গর্ভবতী মহিলাদের হত্যা (রজম) করছেন,অমুসলিমদের মাথা কাটছেন।
ব্যক্তি মুসলিমদের প্রতি আমার কোন বিদ্বেষ নেই, ইসলামের প্রতি আছে। আমার কল্পলোকের পত্নী হল একজন মুসলমানি। কবিতা লিখি তো তাই অন্য কবিদের মতো আমারও কল্প লোক আছে। প্রচণ্ড ভালবাসি তাকে। আমি আপনার বন্ধুত্ব স্বীকার করি, কিন্তু আপনি আমার মতো একজন ঘৃণ্য আর বধ্য কাফেরের সঙ্গে বন্ধুত্বের আহ্বান করেছেন যা ইসলাম দ্বারা নিষিদ্ধ। ইসলামে স্পষ্ট লেখা আছে,যে অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব কর না। তবুও আপনি করছেন, এবং শুনে ভালো লাগল,যে আপনি নিজের হিন্দু ঐতিহ্যকে অন্তত স্বীকার করেন আর হিন্দু গ্রন্থগুলি পড়েন। এটাও অনস্বীকার্য সত্য যে ঋগ্বেদ থেকে পুরাতন কোন ধর্ম গ্রন্থ নেই।
আমার মতে চার ধরনের মুসলিম হয়। নামধারী,নমাজি,ভদ্র জেহাদি আর উগ্র জেহাদি। নমাজি আর নামধারী মুসলমানরা আর পাঁচটা মানুষের মতো মানুষ। অমানুষ হল জেহাদিরা, তাঁদের সর্বনাশ কামনা করি,যাতে মানবতা সুরক্ষিত থাকে।
http://www.thereligionofpeace.com/
Reply ·
Md Hasan Imam 4 hours ago
+অরুণ বাঙালি হিন্দু বিদায় দিয়েছিলাম কিন্তু মিথ্যার জবাব দিতে এলাম আপনি ধর্ষণের অভিযোগ দিয়ে ভুলে গেছেন যে ভারত পৃথিবীর ৪ নম্বর ধর্ষক দেশ এই ১-১০ এর লিস্টে মুসলিম দেশের নাম নেই (লিংক) http://www.wonderslist.com/10-countries-highest-rape-crime/ আর আপনি এতই অন্ধঅনুসারী যে নিজের ধর্মেরই ভিত্তি নাই এটাই ভুলে যান এতই বেকুব যে মাটির মুর্তির পূজা করেন বুদ্ধি নিচে নামতে নামতে শেষ হয়েগেছে দলিল ছাড়াই মনগড়া ঝগ্বেদ পুরানো কিতাব আর এ এটা লিখছে কে এটাই কোনো হিন্দু জানে না পুরুষ লোকের লিঙ্গ পূজা করতে তারপর গরুর মূত্র খেতে লজ্জাও লাগে না, pk মুভি দেখেন ১০ টাকার মুর্তির ব্যবসা। আর কুরআনে বলা আছে অমুসলিমদের বন্ধুরুপে গ্রহণ করো না আর আমি বন্ধু সম্বোধন করেছি মাত্র।
rss ভালো মানে যেটা আপনি বলবেন ঐটাই ঠিক আরে isis যে খারাপ এটাতো পুরো মুসলিমরাই মানে।ধর্ষকের দেশের লোক হয়ে এত কথা মানায় না চুপ কইরা ঐ মুর্তির কাছে গিয়ে মাথা ঠেকান যান, এইরকম মুর্তি ইব্রাহিম(আ) কত ভাঙ্গছেন নবীও মক্কা বিজয়ের পর প্রথমেই কাবার সকল মুর্তিই ভাগছেন এখন বলেন কালোপাথর আমরা পূজা করি আমি বলব ঐ পাথরে পা লাগাইলেও সমস্যা নাই কারণ বিলাল এর উপরে উঠে আজান দিতেন।
আল্লাহ নাম তো সেই প্রথম থেকেই ছিল কারণ তখন তাওহীদ ছিল ইহুদী খ্রিষ্টানরা আমাদের চাচাত ভাই কারণ ইসহাকের সন্তান। ইহুদী খ্রিষ্টানরা আল্লাহকে বলতেন হিব্রুতে এলোহি বা এলোহিম ইহুদীরা এখনও তিন ওয়াক্ত নামায পরে। আর তাদের সাথে আমাদের তো মিল থাকবেই কারণ আমাদের শেষ নবীতো তাদের স্বীকৃতিদিতেই এসছিলেন যদি মূসা এর সময় জন্মামাত নিশ্চয়ই আমি ইহূদী হতাম তখনকার হিসেবে তো ঠিকই ছিল কিন্তু এখন ঠিক হবে না।
তাই ঐ পুতুল অর্থহীন মুর্তির পূজা ছেড়ে ইসলাম গ্রহণ করুন নয়ত ঐ খেলনাকেই সেজদা করেন কিন্তু আপনার ছায়া আল্লাহকেই সবসময় সেজদা করছে।
আপনাদের ধর্মে তো যারা ভালো মানুষ পরের জন্মে কুত্তা,বিড়াল হয়ে জন্মায় আর খারাপ মানুষরা ব্যাঙ,সাপ হয়ে জন্মায় তা আপনাকে কি আমি অগ্রিম কুত্তা,বিড়াল,সাপ,ব্যাঙ্গ বলতে পারি কারণ পরের জন্মেই তো এগুলো হতে যাচ্ছেন। তা লাস্ট কথা সাক্ষ্য দিন '' কোনো সত্য মাবুদ নেই আল্লাহ ছাড়া এবং মুহাম্মদ(সা) তার গোলাম ও রাসূল।''
যদি মুসা(Moses) ইসার(Jesus christ) সময় থাকত তখন বলতে হত মূসা ইসা তার গোলাম ও রাসূল।
বোধহয় এখন বুঝছেন ইসলাম নতুন ধর্ম নয় যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন নবী এসছেন আল্লাহর একত্ববাদের কথা জানাতে আর মুহাম্মদ(স) ই শেষ আর কেউ নবী হয়ে আসবেন না কিন্তু ইসা(আ) আসবেন দাজ্জালকে হত্যা করতে আর খ্রিষ্টানদের ভুল ধরাতে তারপর পৃথিবীতে মুসলিমদের কতৃত্ব হবে আর সবাই মুসলিম হয়ে যাবে এটা ভবিষৎ বাণী যেটা এখনই স্পষ্ট ২০৭০ সালে সবচেয়ে বড় হবে মুসলিম জাতি আস্তে আস্তে আপনি না হলেও আপনার নাতি বা তার পরের কেউ না কেউ মুসলিম হবেই আমার দাদার মত। এটা দৃঢ় বিশ্বাস কারণ ভিত্তিও আছে নবী বলেছেন এমন কোনো ঘর নেই যেখানে ইসলাম পৌছঁবে না।
আপনি হয়ত বলবেন মসলিমদের আল্লাহ অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন কেন কারণ: আপনি যদি লেখাপড়া না করেন মদ খান তাহলে আপনার বাবা বা বড় ভাই আপনার সাথে কি ভালোব্যবহার করবে নাকি বুঝাবে যে এটা খারাপ দরকার পরলে ধমক দিয়ে বুঝাবে। আমাদের ক্ষেত্রেও তাই যদি বন্ধু ভেবে বলি দূত মূর্তি পূজা বন্ধ করতে বললে বন্ধু আমার রাগ করে যাক বলবনা জাহান্নামে গেলে যাক। তাই ভাই আপনাদের সত্য পৌছাঁনোই আমাদের কাজ কারণ এখন নবী নাই পরে নইলে বলবেন আল্লাহ কেউ দাওয়াত দেয় নাই। মনে রাখবেন, যে মুসলিম ব্যক্তি আপনাকে ইসলামের দাওয়াত দেয় না সে আপনার ভালো চায় না।
তা সত্য বললাম মানা নামানা আপনার ব্যাপার আল্লাহ শক্তি দিয়েছেন দুটিই করতে পারেন।
Reply ·
অরুণ বাঙালি হিন্দু 2 hours ago
+Md Hasan Imam আমরা যা করি বেশ করি, আরও করব। মূর্তি পূজা আমরা করি না এবং আগের প্রবন্ধে আমি সেটার বর্ণনা করে ছিলাম। এটা আপনার বিকৃত মস্তিষ্কের অবান্তর ধারণা। আপনি আপনার আরবি আল্লাহর আশ্রয়ে যান, আর আমি আমার সনাতন ঈশ্বরের আশ্রয় যাব। ইহুদি আর খ্রিস্টানরা আপনাদের রসুলকে কী ভাষায় বিদ্রূপ করে, তা বোধহয় আপনি জানেন না। আমরা হিন্দুরা (আর্য সমাজের হিন্দুরা) আপনার রসুল সম্পর্কে দুটি ব্যঙ্গাত্মক বই লিখে ছিলাম ১৯২০-র দশকে। এক ছিল হিন্দিতে 'রঙ্গিলা রসুল' रंगीला रसूल আর আরেকটা উর্দুতে 'সেয়ার-এ-দোযখ' سیرِ دوزخ। স্বামী বিবেকানন্দ আপনার ইসলাম এবং রসুলকে নিন্দা করে ছিলেন (তাঁর ইংরাজি অনুবাদ আমার ল্যাপটপে আছে)। এখন সারা জগত করছে, সারা জগতের বিরুদ্ধে যে রক্তক্ষয়ী জেহাদ আপনারা আরম্ভ করেছেন, সেটাই আপনাদের সমাপ্তির লক্ষণ।
আপনি আপনার অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে থাকুন, আমি ধর্মান্ধ নই। এবং শেষ কথা ভারত আপনারও দেশ। পূর্ব বঙ্গ রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও সাংস্কৃতিক ভাবে এবং সভ্যতার দিক দিয়ে দেখতে গেলে ভারতবর্ষরই অঙ্গ। আমার অবাক লাগছে, যে আপনি এখনও মহম্মদ আলি জিন্নার হিন্দু বিরোধী দ্বিজাতি তত্ত্বকে স্বীকার করেন। আরেক কথা, ধর্ম ছাড়াও এই ঈশ্বর দ্বারা রচিত জগতে অনেক অন্য কিছু আছে, আমার হিতোপদেশ হল ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুও ভাবুন,পড়ুন,লিখুন এবং আলোচনা করুন, কাজে দেবে। ওই বোরখাটা নিজের বিবেক এবং বুদ্ধির নেত্র থেকে সরান, দেখুন এই পৃথিবীটা কত রঙিন ও সুন্দর। কত বিচিত্র আর কত বিস্ময়কর।
বাংলার সংস্কৃতি আরবদের ইসলামি সংস্কৃতির মতো নীরস মরুভূমির সংস্কৃতি নয়। এই সবুজ বাংলায় ধর্ম ছাড়াও অনেক রোচক জিনিস আছে। বিশ্বের ১০টি অসফল দেশের মধ্যে ৮টি হল মুসলিম দেশ। আফগানিস্তান,পাকিস্তান,সোমালিয়া,লিবিয়া,সিরিয়া,নাইজেরিয়া,ইয়েমেন আর ইরাক সবই অসফল দেশ, যাকে ইংরাজিতে বলে 'ফেল্ড স্টেট'।
Reply ·
Md Hasan Imam 2 hours ago
ধন্যবাদ, ভারতে ভিসা ছাড়াই ঢুকতে দিলে আমিও ভারতী আর বেদ,পুরাণ যেদিন সম্পূর্ণ পড়া শেষ করবেন সেদিন আপনিও অন্ধবিশ্বাসী নন।
Reply ·
অরুণ বাঙালি হিন্দু 2 hours ago
+Md Hasan Imam আমি দ্বিজাতি তত্ত্বকে মানি না। দেশভাগকে মানি না। মুসলমানদের প্রতি কোনও বিদ্বেষ রাখি না, কিন্তু ইসলামের সমালোচনা করি। আপনি হয়তো হিন্দুদের প্রতি বিদ্বেষ রাখেন,সেই কারণেই নিজেকে ভারতীয় বলতে দ্বিধা বোধ করছেন। মশাই, ৫০০০ বছর ভারতবর্ষে থেকে এখন বলছেন আপনি ভারতীয় নন। ভিসা ছাড়া হিন্দুদের ঢুকতে দিন, পূর্ব বঙ্গে। রাজনৈতিকভাবে আলাদা হলেও সব পাকিস্তানি,নেপালি,বাংলাদেশী,কাবুলি,জালালাবাদী আর লঙ্কার বাসীরা ভারতীয়।
Reply ·
Md Hasan Imam 2 hours ago
দেশভাগতো আমিও মানিনা সিরাজউদ্দৌলা থেকে ইংরেজরা নিয়েছিল বাংলা,বিহার,উড়িষ্যা কিন্তু দিয়ে গেল মাত্র পূর্ববঙ্গ এটা ঠিক না। আর ভাই ইতিহাস জানেন না নাকি প্রথমে বৌদ্ধ পালরা এই বাংলায় রাজত্ব করত পরে হিন্দু গুপ্ত,সেন রা আসে তারপর তুর্কির বখতিয়ার খিলজি লক্ষণ সেন এর রাজ্য মাত্র ১৬ জন সৈন্য নিয়ে দখল করেন কারণ তখন ইমান করা ছিল পরে মীরজফর,রাজবল্লভ,উমিঁচাদ এর বিশ্বাসঘাতকতায় ইংরেজরা শাসন চালায়২০০ বছর। তারপর তারা দেশভাগ এমনভাবে করে যাতে আমরা লড়াই করি যেমন কাশ্মীর দুইজনকে,সুন্দরবন দুইজনকে দেয় ফলে যুদ্ধ লেগেই থাকে পুরো দখলের জন্য যদিও কিছুদিন আগে আমরা সমুদ্র পেয়েছি। এখন তো ভারত আমাদের গরু খাওয়ায় বন্ধ করতে চায়।
Reply ·
অরুণ বাঙালি হিন্দু 2 hours ago
+Md Hasan Imam বৌদ্ধরা হিন্দু সনাতন ধর্মেরই একটা পন্থ, ঠিক যেমন বৈষ্ণব,শাক্ত,শৈব,জৈন,স্মর্ত,শিখরা। দেশভাগের জন্য ইংরেজরা দায়ী নন, জেহাদিরা দায়ী। মুসলিম লিগের গুণ্ডারা হিংসা আর 'লাড়কে লেঙ্গে পাকিস্তানের' নামে পাকিস্তান বানিয়ে ছিলেন। আপনারা বাঙালি মুসলমানেরা আমাদের সঙ্গে নোয়াখালিতে যা নৃশংস অত্যাচার করেছিলেন তা একে বারে অক্ষমণীয়। ইসলামের জন্য ভারতবর্ষের বিভাজন হয়েছিল, কাশ্মীর নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। ইসলামের জন্যই ইজরায়েলে এত আক্রমণ হয়। ইসলামের জন্যই সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ বাড়ছে। মৌলানা মৌদুদি বলে ছিলেন, যে আল্লাহর পৃথিবীতে যেন কোথাও অ-মুসলিমরা রাজত্ব না করতে পারে,তারই ব্যবস্থা মুসলিমদের করা উচিত। সেটার ভয়ঙ্কর পরিণতি চতুর্দিকে দেখা যাচ্ছে।
Reply ·
Md Hasan Imam 1 hour ago
এখন আপনাকে আর ব্রেইনওয়াশড না বলে পারলাম না কিভাবে যে ওয়াশড হয়েছেন বুঝঝি না নিরস্ত্র ফিলিস্তিনীদের জন্য আপনার দয়াও নেই এতটা হীন আপনি আমি ভাবি নাই, যেখানে অনেক ইহূদীই ফিলিস্তিনীদের পক্ষে। নেন একটা লেকচার শুনুন ''A Name of A Game Israel'' লিংকঃhttps://www.youtube.com/watch?v=6eHfcXrxB48
অরুণ বাঙালি হিন্দু 1 year ago
শাহরিয়ার কবির মশাই, এই তথ্যচিত্রে হিন্দুদের উপর বাংলাদেশী জিহাদিরা যা নৃশংসতা চালাচ্ছে, সেই নিয়ে কোনও উল্লেখ নেই কেন ? আপনি এটা কী ভাবে ভুলে যান যে বঙ্গভঙ্গ হয়েছিল, মূলত হিন্দুদের পূর্ব বঙ্গ থেকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে। আমরা আজও ভুগছি। আমাদের পরিকল্পিতভাবে নির্মূল করা হয়েছে গত ৬৪ বছর ধরে। আপনারা তখন কোথায় ছিলেন ? ইসলামি সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদের মূল কারণ হল ইসলাম "ধর্ম" (আমি বলি "অধর্ম"), কুরান, শারিয়া আর হদিশে কাফির আর মহিলাদের সম্পর্কে যা বিদ্বেষমূলক কথা লেখা আছে, সেই বিদ্বেষমূলক কথাগুলি ইন্ধন যোগায়, ইসলামি সন্ত্রাসবাদকে। ইসলাম আর ইসলামি সন্ত্রাসবাদকে পৃথক চোখে দেখা হল এক ধরনের ভণ্ডামি। আপনার আর আমার পার্থক্য কেবল একটি, আপনি ইসলামি সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদের নিন্দুক, আমি ইসলামের নিন্দুক।
বাঙালি সংস্কৃতি হল হিন্দু মহাজাতির সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এক কালে বাঙালি জাতি সমেত সব ভারতীয়রা হিন্দু ছিলেন,অর্থাৎ সনাতন ধর্মাবলম্বী ছিলেন। শৈব,বৈষ্ণব,শাক্ত,একেশ্বরবাদ,সর্বেশ্বরবাদ,শিখ,বৌদ্ধ,জৈন,হিন্দু পুনরুত্থান,নিরীশ্বরবাদ,আদিবাসী ধর্ম,ইত্যাদি, যেগুলি ভারতভূমিতে উত্পন্ন হয়েছিল তাকে সমষ্টিগতভাবে হিন্দু সনাতন ধর্ম বলা হয়।
ইসলাম ধর্ম, ইসলামি সংস্কৃতি হল আরব দেশের ধর্ম আর সংস্কৃতি। ভারতীয় সংস্কৃতি হল হিন্দু সংস্কৃতি, একিভাবে বাঙালি সংস্কৃতি হল হিন্দু মহাজাতির সংস্কৃতি। অধিকাংশ বাঙালিরা আজকে মুসলিম, কিন্তু তাঁদের মুসলিম পরিচয় আর বাঙালি পরিচয় হল পরস্পরবিরোধী। ইসলামি পরিচয় আর বাঙালি পরিচয় মধ্যে কোনও মিল নাই। বাঙালিয়ানা হল হিন্দুত্বের বহিঃপ্রকাশ। বাংলা ভাষা হল হিন্দুদের ভাষা, সংস্কৃত থেকে পরোক্ষ ভাবে উত্পন্ন আর প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত। পয়লা বৈশাখ হল বাঙালি হিন্দুদের পঞ্জিকা, ইসলামের সঙ্গে এর কোনও মিল নেই।
Reply ·
Md Hasan Imam 1 day ago
+অরুণ বাঙালি হিন্দু পঞ্জিকাটা তৈরি হয়েছে আকবর এর সময় তিনি নিজেই এর পৃষ্ঠপোষক।
Reply ·
অরুণ বাঙালি হিন্দু 1 day ago
+Md Hasan Imam না, বাঙালি হিন্দুদের পঞ্জিকা সাতবাহন/শালিবাহন শক সাম্রাজ্যের সময় থেকে নেওয়া হয়েছে। ইসলামের তখন উত্তপত্তিও হয়নি।
Reply ·
Md Hasan Imam 1 day ago
+অরুণ বাঙালি হিন্দু ও তালে আদম হাওয়া হিন্দু ছিলেন? মুসলিম নয়।
Reply
অরুণ বাঙালি হিন্দু 1 day ago
+Md Hasan Imam আপনাকে কুরান বলে, যে আদম আর হাউয়া হল প্রথম মানুষ। কুরানের আগে একি কথা বাইবেলেও উল্লেখ করা আছে। আমাকে বিষ্ণু পুরাণ বলে যে এই পৃথিবীর প্রথম মানুষ হলেন মনু। আমার হিন্দু ধর্মের পুরাণ আপনার কুরান থেকে ন্যূনতম ৫০০০ বছর পুরাতন আর বাইবেল থেকে ন্যূনতম ২০০০ বছর পুরাতন। হিন্দুধর্মের মতে পৃথিবীর আদি পুরুষ হলেন মনু যার পিতা ছিলেন পরমপিতা সর্ব স্রষ্টা ব্রহ্মা।মনুর বংশধরদেরই আমরা সংস্কৃত,বাংলায়,হিন্দি এবং বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় মনুষ্য,মানব,মনুজ আর মানুষ বলি। আদম থেকে এসেছে আদমি শব্দটি যেটা পুরোপুরি একটা আরবি শব্দ অর্থাৎ বিদেশী শব্দ।
বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন আদি পুরুষের উল্লেখ করা হয়েছে। কোনটা সত্যি তা এখনও পর্যন্ত যাচাই করা যায়নি। তবে এটা অনস্বীকার্য সত্য যে হিন্দু সনাতন ধর্ম হল 'ভারতীয়' আর ইসলাম হল মধ্য প্রাচ্যের সেমিটিক ধর্ম। অধিকাংশ ইতিহাসবিদদের মতে হিন্দু সনাতন ধর্মের জন্মদাতা হল বৈদিক ধর্ম। বৈদিক ধর্ম ইসলাম থেকে অন্তত ১০০০০ বছর পুরাতন। অখণ্ড ভারতবর্ষের সঙ্গে ইসলামের কোন মৌলিক সম্পর্ক নেই, কারণ ইসলাম হল একটা বিদেশী ধর্ম যেটা ইসলামি অত্যাচারীরা নিজেদের ৬০০ বছরের শাসনকালে হিন্দুদের উপর চাপিয়ে ছিলেন। আপনি বাঙালি হয়ে, আপনার নাম আরবি ভাষায়, আর আমি বাঙালি হয়ে আমার নাম এবং উপনাম দুটোই সংস্কৃতে,কারণ আমি আমার পূর্ব পুরুষদের ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে অনুসরণ করছি, আর আপনি বিদেশী আক্রমণকারীদের ধর্ম অনুসরণ করছেন এবং তাঁদের পরিচয় নিজের উপর চাপিয়ে নিজের অস্তিত্বকে হাস্যকর করে দিচ্ছেন। যে আরবদের সাথে আপনার কোনও সম্পর্ক নেই,তাঁদের নাম রাখছেন কেন ? তাহলে নিজেই ভাবুন কে ঠিক আর কে ভুল ?
Reply ·
Md Hasan Imam 1 day ago
+অরুণ বাঙালি হিন্দু ভাই, আমার বংশের নাম ''সরকার'' আর আমার 'জমিদার দাদা হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছিলেন' তাই আমরা সবাই মুসলিম হয়েছি অবশ্য তিনি না হলে আমি নিজেই কনভার্ট হতাম বোধহয় কারণ মুর্তি পূজা আমার দ্বারা সম্ভব না আর ৩৩ কোটি দেবতাকে সন্তুষ্ট করাও আমার সম্ভব না। তাই আপনাকেও ইসলাম ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছেড়ে দিয়ে এটা গ্রহণ করুন নইলে আগুনের অপেক্ষা করুন যা আপনি এখন মুর্তির জন্য অবিশ্বাস করছেন। আর মনুর কথা বললেন উনি তো একা বসবাস করতেন না একটা ছোট গোত্র নিয়ে তাই অনেকে বলে থাকেন তিনি হচ্ছেন নূহ(আ) আর তার সময়েই পৃথিবীর অনেক মানুষকে আল্লাহ বন্যায় ধ্বংস করেছিলেন এবং প্রথম মানবতৈরি নৌকায় বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি ও তার সামান্য কিছু লোক পরে তার মৃত্যুর পরই প্রথম মুর্তি পূজা শুরু হয়।নিচে বর্ণিত হলোঃ
আদম (আঃ)-এর সময়ে ঈমানের সাথে শিরক ও কুফরের মুকাবিলা ছিল না। তখন সবাই তওহীদের অনুসারী একই উম্মতভুক্ত ছিল। তাঁর শরী‘আতের অধিকাংশ বিধানই ছিল পৃথিবী আবাদকরণ ও মানবীয় প্রয়োজনাদির সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু কালের বিবর্তনে মানুষের মধ্য শিরকের অনুপ্রবেশ ঘটে। নূহের কওম ওয়াদ, সুওয়া‘, ইয়াগূছ, ইয়াঊক্ব ও নাস্র প্রমুখ মৃত নেককার লোকদের অসীলায় আখেরাতে মুক্তি পাবার আশায় তাদের পূজা শুরু করে। এই পূজা তাদের কবরেও হ’তে পারে, কিংবা তাদের মূর্তি বানিয়েও হ’তে পারে। মুহাম্মাদ ইবনু ক্বায়েস বলেন, আদম ও নূহ (আঃ)-এর মধ্যবর্তী সময়কালের এই পাঁচজন ব্যক্তি নেককার ও সৎকর্মশীল বান্দা হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তাঁদের মৃত্যুর পর ভক্ত অনুসারীগণকে শয়তান এই বলে প্ররোচনা দেয় যে, এইসব নেককার মানুষের মূর্তি সামনে থাকলে তাদের দেখে আল্লাহর প্রতি ইবাদতে অধিক আগ্রহ সৃষ্টি হবে। ফলে তারা তাদের মূর্তি বানায়। অতঃপর উক্ত লোকদের মৃত্যুর পরে তাদের পরবর্তীগণ শয়তানের ধোঁকায় পড়ে ঐ মূর্তিগুলিকেই সরাসরি উপাস্য হিসাবে পূজা শুরু করে দেয়। তারা এইসব মূর্তির অসীলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করত’।;আর এভাবেই পৃথিবীতে প্রথম মূর্তিপূজার শিরকের সূচনা হয়।ইমাম বুখারী (রহঃ)বর্ণনা করেন ঐ লোকগুলি; হযরত নূহ (আঃ)-এর যুগের নেককার ব্যক্তি ছিলেন। তাদের মৃত্যুর পর শয়তান তাদের অনুসারীদের এই মর্মে ধোঁকা দিল যে, এঁদের বসার স্থানগুলিতে এক একটি মূর্তি বানাও ও তাদের নামে নামকরণ কর। লোকেরা তাই করল। ...এই মূর্তিগুলি পরবর্তীকালে আরবদের মধ্যেও চালু ছিল। ‘ওয়াদ’ ছিল বনু কালবের জন্য দূমাতুল জান্দালে, সুওয়া‘ ছিল বনু হোযায়েলের গোত্রের জন্য, ইয়াগূছ ছিল বনু গুত্বায়েফ গোত্রের জন্য জুরুফ নামক স্থানে, ইয়া‘ঊক্ব ছিল বনু হামদানের গোত্রের জন্য এবং নাস্র ছিল হিমইয়ার গোত্রের বনু যি-কালা এর জন্য’।[14]ইবনু আবী হাতেম-এর বর্ণনায় এসেছে যে, ‘ওয়াদ’ ছিল এদের মধ্যে প্রথম এবং সর্বাধিক নেককার ব্যক্তি। তিনি মারা গেলে লোকেরা তার প্রতি ভক্তিতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। শয়তান এই সুযোগ গ্রহণ করে এবং লোকদেরকে তার মূর্তি বানাতে প্ররোচনা দেয়। ফলে ওয়াদ-এর মূর্তিই হ’ল পৃথিবীর সর্বপ্রথম মূর্তি, আল্লাহকে বাদ দিয়ে যার পূজা শুরু হয়’।[15]অতএব পৃথিবীর প্রাচীনতম শিরক হ’ল নেককার মানুষের কবর অথবা তাদের মূর্তিপূজা। যা আজও প্রায় সকল ধর্মীয় সমাজে চালু আছে এবং বর্তমানে যা মুসলিম সমাজে স্থানপূজা, কবর পূজা, ছবি-প্রতিকৃতি, মিনার ও ভাষ্কর্য পূজায় রূপ নিয়েছে। উক্ত পাঁচটি মূর্তির মাহাত্ম্য ও তাদের প্রতি ভক্তি লোকদের হৃদয়ে এমনভাবে প্রোথিত হয়েছিল যে, তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এবং পারস্পরিক চুক্তি সম্পাদনকালে তাদের নাম উল্লেখ করত। এতদ্ব্যতীত তারা নানাবিধ সামাজিক অনাচারে ডুবে গিয়েছিল। সম্প্রদায়ের এইরূপ পতন দশায় আল্লাহ তাদের হেদায়াতের জন্য নূহ (আঃ)-কে রাসূল হিসাবে প্রেরণ করেন (আ‘রাফ ৭/৬১)।লিংকঃ http://www.nobiderkahini.at-tahreek.com/2.html#2
Reply ·
অরুণ বাঙালি হিন্দু 20 hours ago
+Md Hasan Imam প্রথমত আমি আপনার দাওয়াতকে অগ্রাহ্য করলাম। হিন্দু হয়ে জন্মেছি এবং হিন্দু হয়েই মরবো। দ্বিতীয়ত আপনি বললেন, যে আমরা হিন্দুরা নাকি মূর্তি পূজা করি এবং সেই জন্য আমরা নরকাগ্নির পাত্র, এবং আপনাদের কুরানি আল্লাহ আমাদের চিরকাল ওখানে জ্বালাবে। এ সব আপনার কুরানের কথা, যা আমি আগেও জানতাম কিন্তু মানি না (আমার ল্যাপটপে ৯টা কুরান আছে, ৩টি উর্দুতে,৩টি ইংরাজিতে আর ২টি বাংলায়)। যেটা আপনি জানেন না, সেটা হল আমরা ওই পরমেশ্বরেরই আরাধনা করি এবং মূর্তি হল কেবল তাঁর প্রতীক চিহ্ন। ৩৩ কোটি দেবী দেবতারা একি পরমেশ্বরের প্রতীক, বলে গীতায় লেখা আছে। আপনি ঈশ্বরকে যে রূপে দেখতে চান,উনি সেই রূপই ধারণ করবেন। হিন্দু ধর্মে নিরাকার নির্গুণ ব্রহ্মের কথা উল্লেখ করা আছে, এবং একি ভাবে সগুণ সাকার ব্রহ্মের কথাও উল্লেখ করা আছে। শিব,বিষ্ণু,ব্রহ্মা,আদি শক্তির বিভিন্ন রূপ এবং অবতার হল ওই সেই একেশ্বরের আরাধনা। ঈশ্বর প্রাকৃতিক নিয়ম দ্বারা বদ্ধ নন, ফলে উনি এক না অনেক তা এক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক। ঈশ্বর হলেন অজ্ঞেয়, তাঁকে নির্ভুলভাবে জানা মানব জাতির পক্ষে অসম্ভব।
হিন্দু ধর্মে ঈশ্বর সম্বন্ধে সব মতামতকেই স্বাগত জানান হয়,সেই কারণেই হিন্দুধর্ম হল বিবিধতার ধর্ম। হিন্দু ধর্মে একেশ্বরবাদ (monotheism), অনেকেশ্বরবাদ (polytheism),সর্বেশ্বরবাদ (pantheism),নিরীশ্বরবাদ (atheism) এবং অজ্ঞেয়বাদ (agnosticism) ইত্যাদি সবই আছে। তবে যেহেতু বর্তমান হিন্দুদের উপর পৌরাণিক কাহিনীর সাংস্কৃতিক প্রভাব অনেক বেশী প্রবল, ফলে অধিকাংশ হিন্দুরা অনেকেশ্বরবাদী অথবা সর্বেশ্বরবাদী মতে বিশ্বাস করেন। আপনার ইসলাম আপনি নিজের কাছে রাখুন, আমাদের উপর আরোপ করবেন না। অন্তত আমরা হিন্দুরা আপনাদের মতো দাম্ভিক নই। আমরা কখনই মিথ্যা অহংকার নিয়ে দাবি করি না যে আমাদের ধর্ম সঠিক আর বাকিদের ধর্ম হল মিথ্যা। আমাদের মতে অহংকার হল মোক্ষপ্রাপ্তির পথে সব থেকে বড়ো কাঁটা।
আপনারা ইসলামের নামে প্রতিদিন নিরীহদের হত্যা করছেন। আপনাদের কুরানের বিদ্বেষমূলক পঙক্তির জন্য তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। এমনিতেই বিশ্বের ৬০টি দেশ ইসলামি সন্ত্রাসে জর্জরিত। আল্লাহ আকবরের নাম নিয়ে আপনারা প্রতিদিন মানবতার বিরুদ্ধে অতি ভর্ৎসনীয় অপরাধ অবিরাম করেই চলেছেন। সেটার জন্য আপনাদের ধর্ম ইসলামকে বিশ্বের সব চেয়ে হিংসাপরায়ণ আর অসহিষ্ণু ধর্ম বলে লোকে আখ্যা দায়। তাঁর সত্ত্বেও আপনাদের লজ্জা হয় না,বরং গর্ব হয়! অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ যদি এমন কুকর্ম প্রতিদিন করতেন,তাহলে নিঃসন্দেহ তাঁদের গভীর মনঃস্তাপ আর অনুশোচনা হত, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল এই যে আপনাদের এ সব বিন্দু মাত্র হয় না। এটাই আমার মতে অশুভ সংকেত এবং পাশবিক প্রবৃত্তির কুলক্ষণ। নূহের ওই গল্পটি আমাদের ভাগবত এবং বিষ্ণু পুরাণে উল্লেখ করা আছে। বিষ্ণুর মত্স্যাবতার এবং রাজা সত্যব্রত/শ্রদ্ধাদেব (বৈবস্বত মনু) ছিলেন ওই কাহিনীর প্রধান দুটি চরিত্র। ইতিহাসবিদদের মতে ওই গল্পটি হিন্দুধর্মের গল্প,যেটা বাইবেলের লেখকরা চুরি করেছিলেন এবং তারপর কুরানের লেখকরা বাইবেল থেকে চুরি করেন। এটার জ্বলন্ত প্রমাণ হল ভাগবত পুরাণ আর বিষ্ণু পুরাণ দুটোই বাইবেল থেকে পুরাতন এবং বাইবেল কুরান থেকে পুরাতন!!! আরবরা সংখ্যা ১২৩৪৫৬৭৮৯০ সব হিন্দুদের চুরি করে ছিলেন। তথাকথিত ইসলামি ঔষধ শাস্ত্র হল গ্রিকদের। ওদের বই থেকে আরবি ভাষায় অনুবাদ করে আরবরা বলল এটা ইসলামি আয়ুর্বিজ্ঞান!!! এমনকি জ্যোতিষ শাস্ত্র,গণিত ইত্যাদি আরবরা হিন্দুদের থেকে চুরি করেছে। অঙ্কে যাকে বলে আলজেবরা তা আসলে বৈদিক ঋষিগণের অবদান। সংস্কৃতে আলজেবরাকে বলে বীজগণিত। ভাষ্যবিদদের মতে বৈদিক সংস্কৃত হল লৌকিক সংস্কৃতের জননী এবং এই দুটি ভাষাই আরবি,হিব্রু,গ্রিক ইত্যাদির থেকে প্রাচীন।
Reply ·
Md Hasan Imam 17 hours ago
+অরুণ বাঙালি হিন্দু ভালোই লাগলো আপনার বিদ্বেষ পড়ে। আপনার ধর্মে ঈশ্বরের পরিচয়ই নেই তাই তো কবি বলেন,'' হরিকে দেখিয়া হরি হরিতে লুকায়।'' মানে সবাই হরি(ভগবান)। আমার কাছেও গীতা,রামায়ণ আছে মাঝে মাঝে পড়ি। আপনাদের হিসেবে ''পুরাণ'' লেখা হয়েছে ''কুরআনে''র ৫০০০ বছর আগে আর বাইবেল থেকে ২০০০ বছর আগে কিন্তু আমাদের আদম আর নূহ নবীই বেচেঁছিলেন ৯৫০ ও ৯৬০ বছর (করে)। আর বাইবেলরও আগে তওরাহ,যবুর কিতাব ছিল। আর প্রথম কলম দ্বারা লিখেছিলেন ইদরীস(আ)(বাইবেলে উল্লেখিত 'ইনোখ' বা 'Enoch'), তার উপর সহীফা নাজিল হয়েছিল তা পুরাণেরও পূর্বে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে পারব কোন গ্রন্থ কার উপর নাজিল হয়েছে কিন্তু আপনাদের ধর্ম হঠাৎ ৫০০০ বছর পূর্বে একগোত্রে উৎপত্তি হলো এবং কে কোন কিতাব লিখেছে তারও কোনো হদিস আপনি দিতে পারবেন না কারণ ব্রাক্ষণরাতো কিতাব পড়তেও দিত না আর সংস্কৃতভাষায় কথা বলতেও দিত না। তাই আমরা মাথা উচুঁ করে বলি ইসলামই একমাত্র সত্যধর্ম।
আর পৃথিবীর বর্তমানে সবচেয়ে নির্জাতিত জাতি রোহিঙ্গা মুসলিম উইকিপিডিয়া অনুযায়ী আর rss হিন্দু জঙ্গি এটা ভুইলেন না। আর আবিষ্কারের জিনিস গুলো আরবরা চুরি করবে কিভাবে কারণ তারা সংস্কৃত জানতই না আর মুসলিম এদেশে আসার পর ফারসি ছিল প্রাতিষ্ঠানিক ভাষা। আর কুরআন যদি চুরির বই মনেই হয় তালে আপনার কাছে চ্যালেন্জ কুরআনের মত একটা বই বানিয়ে নিয়ে ২০০ কোটি অনুসারী বানান, না করল কে এমনিতেই ভারতে হিন্দু কমছে।
আর দাসপ্রথা,লিঙ্গের পূজা,সতীদাহ থেকে রেহাই পেতেই তারা মুসলিমদের কাছে আসতে চায় আর আমরাও বুকে তুলে নিয়েছি এজন্যই তো ভারতে ১৮ কোটি মুসলিম আর আমার দাদার কারণে আমিও।
তা বিদায় ভালোই লাগল চ্যাট করে আর ভুলে জাইয়েন না আমরা মানুষ সে হিসেবে একে অপরের মানবতা দেখানো উচিত। আমার পক্ষ থেকে যথেষ্ট মানবতা পাবেন বন্ধু হাত ফেলে চেয়ে আছি আপনার দিকে মমতা দিন নইলে মুখে লাথি মারুন মাথা পেতে নিব।
বিদায়।
Reply ·
অরুণ বাঙালি হিন্দু 10 hours ago
+Md Hasan Imam আপনার দৃঢ় বিশ্বাস যে কুরান হল একটি অলৌকিক বই, তাঁর কোন প্রমাণ আপনি দিতে পারবেন না, ফলে এটা আপনার ভিত্তিহীন বিশ্বাস। রসুলের উল্লেখগুলো বাদ দিলে,কুরান মোটা মোটি বাইবেলেরই আরবি অনুবাদ। আপনাদের ইসলাম ধর্মের শিকড় ইহুদি ধর্মের সঙ্গে জড়িত। হ্যাঁ আজকের দিনে আপনারা তা অস্বীকার করবেন, এবং ইহুদিদের অমঙ্গল কামনা করবেন, তা আমি জানি কিন্তু এটাই অনস্বীকার্য সত্য। আল্লাহ শব্দটি আরবি খ্রিস্টানরাও ব্যবহার করে, এবং এটা ঐতিহাসিক সত্য যে তাঁরা আরবি মুসলিমদের থেকে প্রাচীন।দাসপ্রথা,নারীদের বোরখায় বন্দি রাখা, সংগীত এবং শিল্পের কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা,অমুসলিমদের উপর অবিরাম অত্যাচার আর বৈষম্যমূলক আচরণ করা। তাঁদের জিম্মি বানিয়ে জীবনটাকে নরকে পরিণত করা ইত্যাদি বহু "গৌরবময়" ইসলামি পরম্পরা আদতে লজ্জাজনক এবং জঘন্য। হিন্দুরা কুসংস্কার দূর করতে অনেক প্রচেষ্টা করেছে এবং তাঁরা সাধারণত শিক্ষিত হলেই কুসংস্কার থেকে মুক্ত হয়ে যান, কিন্তু আপনারা তো মানতেই চান না যে আপনাদের ধর্মে কোন ত্রুটি আছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ কোন জঙ্গী সংগঠন নয়। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ওই সংগঠনেরই সদস্য ছিলেন,শৈশব থেকে। ভারত বা বিশ্বের কোন দেশ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে জঙ্গী সংগঠন বলে চিহ্নিত করেনি। আপনাদের আল কায়েদা,তালিবান,দায়েশ,বোকো হারাম,আল শাবাব,হামাস,লস্করে তইবা,জৈশে মহম্মদ,জামাতে ইসলামি বাংলাদেশ সবই বিশ্বে কুখ্যাত এবং নিষিদ্ধ জঙ্গী গোষ্ঠী বলে চিহ্নিত। এমন আরও অসংখ্য জেহাদি সংগঠন আছে,যারা শুধু মানুষ মারছেন, মহিলাদের জ্বালাচ্ছেন,প্রস্তর বর্ষণ করে গর্ভবতী মহিলাদের হত্যা (রজম) করছেন,অমুসলিমদের মাথা কাটছেন।
ব্যক্তি মুসলিমদের প্রতি আমার কোন বিদ্বেষ নেই, ইসলামের প্রতি আছে। আমার কল্পলোকের পত্নী হল একজন মুসলমানি। কবিতা লিখি তো তাই অন্য কবিদের মতো আমারও কল্প লোক আছে। প্রচণ্ড ভালবাসি তাকে। আমি আপনার বন্ধুত্ব স্বীকার করি, কিন্তু আপনি আমার মতো একজন ঘৃণ্য আর বধ্য কাফেরের সঙ্গে বন্ধুত্বের আহ্বান করেছেন যা ইসলাম দ্বারা নিষিদ্ধ। ইসলামে স্পষ্ট লেখা আছে,যে অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব কর না। তবুও আপনি করছেন, এবং শুনে ভালো লাগল,যে আপনি নিজের হিন্দু ঐতিহ্যকে অন্তত স্বীকার করেন আর হিন্দু গ্রন্থগুলি পড়েন। এটাও অনস্বীকার্য সত্য যে ঋগ্বেদ থেকে পুরাতন কোন ধর্ম গ্রন্থ নেই।
আমার মতে চার ধরনের মুসলিম হয়। নামধারী,নমাজি,ভদ্র জেহাদি আর উগ্র জেহাদি। নমাজি আর নামধারী মুসলমানরা আর পাঁচটা মানুষের মতো মানুষ। অমানুষ হল জেহাদিরা, তাঁদের সর্বনাশ কামনা করি,যাতে মানবতা সুরক্ষিত থাকে।
http://www.thereligionofpeace.com/
Reply ·
Md Hasan Imam 4 hours ago
+অরুণ বাঙালি হিন্দু বিদায় দিয়েছিলাম কিন্তু মিথ্যার জবাব দিতে এলাম আপনি ধর্ষণের অভিযোগ দিয়ে ভুলে গেছেন যে ভারত পৃথিবীর ৪ নম্বর ধর্ষক দেশ এই ১-১০ এর লিস্টে মুসলিম দেশের নাম নেই (লিংক) http://www.wonderslist.com/10-countries-highest-rape-crime/ আর আপনি এতই অন্ধঅনুসারী যে নিজের ধর্মেরই ভিত্তি নাই এটাই ভুলে যান এতই বেকুব যে মাটির মুর্তির পূজা করেন বুদ্ধি নিচে নামতে নামতে শেষ হয়েগেছে দলিল ছাড়াই মনগড়া ঝগ্বেদ পুরানো কিতাব আর এ এটা লিখছে কে এটাই কোনো হিন্দু জানে না পুরুষ লোকের লিঙ্গ পূজা করতে তারপর গরুর মূত্র খেতে লজ্জাও লাগে না, pk মুভি দেখেন ১০ টাকার মুর্তির ব্যবসা। আর কুরআনে বলা আছে অমুসলিমদের বন্ধুরুপে গ্রহণ করো না আর আমি বন্ধু সম্বোধন করেছি মাত্র।
rss ভালো মানে যেটা আপনি বলবেন ঐটাই ঠিক আরে isis যে খারাপ এটাতো পুরো মুসলিমরাই মানে।ধর্ষকের দেশের লোক হয়ে এত কথা মানায় না চুপ কইরা ঐ মুর্তির কাছে গিয়ে মাথা ঠেকান যান, এইরকম মুর্তি ইব্রাহিম(আ) কত ভাঙ্গছেন নবীও মক্কা বিজয়ের পর প্রথমেই কাবার সকল মুর্তিই ভাগছেন এখন বলেন কালোপাথর আমরা পূজা করি আমি বলব ঐ পাথরে পা লাগাইলেও সমস্যা নাই কারণ বিলাল এর উপরে উঠে আজান দিতেন।
আল্লাহ নাম তো সেই প্রথম থেকেই ছিল কারণ তখন তাওহীদ ছিল ইহুদী খ্রিষ্টানরা আমাদের চাচাত ভাই কারণ ইসহাকের সন্তান। ইহুদী খ্রিষ্টানরা আল্লাহকে বলতেন হিব্রুতে এলোহি বা এলোহিম ইহুদীরা এখনও তিন ওয়াক্ত নামায পরে। আর তাদের সাথে আমাদের তো মিল থাকবেই কারণ আমাদের শেষ নবীতো তাদের স্বীকৃতিদিতেই এসছিলেন যদি মূসা এর সময় জন্মামাত নিশ্চয়ই আমি ইহূদী হতাম তখনকার হিসেবে তো ঠিকই ছিল কিন্তু এখন ঠিক হবে না।
তাই ঐ পুতুল অর্থহীন মুর্তির পূজা ছেড়ে ইসলাম গ্রহণ করুন নয়ত ঐ খেলনাকেই সেজদা করেন কিন্তু আপনার ছায়া আল্লাহকেই সবসময় সেজদা করছে।
আপনাদের ধর্মে তো যারা ভালো মানুষ পরের জন্মে কুত্তা,বিড়াল হয়ে জন্মায় আর খারাপ মানুষরা ব্যাঙ,সাপ হয়ে জন্মায় তা আপনাকে কি আমি অগ্রিম কুত্তা,বিড়াল,সাপ,ব্যাঙ্গ বলতে পারি কারণ পরের জন্মেই তো এগুলো হতে যাচ্ছেন। তা লাস্ট কথা সাক্ষ্য দিন '' কোনো সত্য মাবুদ নেই আল্লাহ ছাড়া এবং মুহাম্মদ(সা) তার গোলাম ও রাসূল।''
যদি মুসা(Moses) ইসার(Jesus christ) সময় থাকত তখন বলতে হত মূসা ইসা তার গোলাম ও রাসূল।
বোধহয় এখন বুঝছেন ইসলাম নতুন ধর্ম নয় যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন নবী এসছেন আল্লাহর একত্ববাদের কথা জানাতে আর মুহাম্মদ(স) ই শেষ আর কেউ নবী হয়ে আসবেন না কিন্তু ইসা(আ) আসবেন দাজ্জালকে হত্যা করতে আর খ্রিষ্টানদের ভুল ধরাতে তারপর পৃথিবীতে মুসলিমদের কতৃত্ব হবে আর সবাই মুসলিম হয়ে যাবে এটা ভবিষৎ বাণী যেটা এখনই স্পষ্ট ২০৭০ সালে সবচেয়ে বড় হবে মুসলিম জাতি আস্তে আস্তে আপনি না হলেও আপনার নাতি বা তার পরের কেউ না কেউ মুসলিম হবেই আমার দাদার মত। এটা দৃঢ় বিশ্বাস কারণ ভিত্তিও আছে নবী বলেছেন এমন কোনো ঘর নেই যেখানে ইসলাম পৌছঁবে না।
আপনি হয়ত বলবেন মসলিমদের আল্লাহ অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন কেন কারণ: আপনি যদি লেখাপড়া না করেন মদ খান তাহলে আপনার বাবা বা বড় ভাই আপনার সাথে কি ভালোব্যবহার করবে নাকি বুঝাবে যে এটা খারাপ দরকার পরলে ধমক দিয়ে বুঝাবে। আমাদের ক্ষেত্রেও তাই যদি বন্ধু ভেবে বলি দূত মূর্তি পূজা বন্ধ করতে বললে বন্ধু আমার রাগ করে যাক বলবনা জাহান্নামে গেলে যাক। তাই ভাই আপনাদের সত্য পৌছাঁনোই আমাদের কাজ কারণ এখন নবী নাই পরে নইলে বলবেন আল্লাহ কেউ দাওয়াত দেয় নাই। মনে রাখবেন, যে মুসলিম ব্যক্তি আপনাকে ইসলামের দাওয়াত দেয় না সে আপনার ভালো চায় না।
তা সত্য বললাম মানা নামানা আপনার ব্যাপার আল্লাহ শক্তি দিয়েছেন দুটিই করতে পারেন।
Reply ·
অরুণ বাঙালি হিন্দু 2 hours ago
+Md Hasan Imam আমরা যা করি বেশ করি, আরও করব। মূর্তি পূজা আমরা করি না এবং আগের প্রবন্ধে আমি সেটার বর্ণনা করে ছিলাম। এটা আপনার বিকৃত মস্তিষ্কের অবান্তর ধারণা। আপনি আপনার আরবি আল্লাহর আশ্রয়ে যান, আর আমি আমার সনাতন ঈশ্বরের আশ্রয় যাব। ইহুদি আর খ্রিস্টানরা আপনাদের রসুলকে কী ভাষায় বিদ্রূপ করে, তা বোধহয় আপনি জানেন না। আমরা হিন্দুরা (আর্য সমাজের হিন্দুরা) আপনার রসুল সম্পর্কে দুটি ব্যঙ্গাত্মক বই লিখে ছিলাম ১৯২০-র দশকে। এক ছিল হিন্দিতে 'রঙ্গিলা রসুল' रंगीला रसूल আর আরেকটা উর্দুতে 'সেয়ার-এ-দোযখ' سیرِ دوزخ। স্বামী বিবেকানন্দ আপনার ইসলাম এবং রসুলকে নিন্দা করে ছিলেন (তাঁর ইংরাজি অনুবাদ আমার ল্যাপটপে আছে)। এখন সারা জগত করছে, সারা জগতের বিরুদ্ধে যে রক্তক্ষয়ী জেহাদ আপনারা আরম্ভ করেছেন, সেটাই আপনাদের সমাপ্তির লক্ষণ।
আপনি আপনার অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে থাকুন, আমি ধর্মান্ধ নই। এবং শেষ কথা ভারত আপনারও দেশ। পূর্ব বঙ্গ রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও সাংস্কৃতিক ভাবে এবং সভ্যতার দিক দিয়ে দেখতে গেলে ভারতবর্ষরই অঙ্গ। আমার অবাক লাগছে, যে আপনি এখনও মহম্মদ আলি জিন্নার হিন্দু বিরোধী দ্বিজাতি তত্ত্বকে স্বীকার করেন। আরেক কথা, ধর্ম ছাড়াও এই ঈশ্বর দ্বারা রচিত জগতে অনেক অন্য কিছু আছে, আমার হিতোপদেশ হল ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুও ভাবুন,পড়ুন,লিখুন এবং আলোচনা করুন, কাজে দেবে। ওই বোরখাটা নিজের বিবেক এবং বুদ্ধির নেত্র থেকে সরান, দেখুন এই পৃথিবীটা কত রঙিন ও সুন্দর। কত বিচিত্র আর কত বিস্ময়কর।
বাংলার সংস্কৃতি আরবদের ইসলামি সংস্কৃতির মতো নীরস মরুভূমির সংস্কৃতি নয়। এই সবুজ বাংলায় ধর্ম ছাড়াও অনেক রোচক জিনিস আছে। বিশ্বের ১০টি অসফল দেশের মধ্যে ৮টি হল মুসলিম দেশ। আফগানিস্তান,পাকিস্তান,সোমালিয়া,লিবিয়া,সিরিয়া,নাইজেরিয়া,ইয়েমেন আর ইরাক সবই অসফল দেশ, যাকে ইংরাজিতে বলে 'ফেল্ড স্টেট'।
Reply ·
Md Hasan Imam 2 hours ago
ধন্যবাদ, ভারতে ভিসা ছাড়াই ঢুকতে দিলে আমিও ভারতী আর বেদ,পুরাণ যেদিন সম্পূর্ণ পড়া শেষ করবেন সেদিন আপনিও অন্ধবিশ্বাসী নন।
Reply ·
অরুণ বাঙালি হিন্দু 2 hours ago
+Md Hasan Imam আমি দ্বিজাতি তত্ত্বকে মানি না। দেশভাগকে মানি না। মুসলমানদের প্রতি কোনও বিদ্বেষ রাখি না, কিন্তু ইসলামের সমালোচনা করি। আপনি হয়তো হিন্দুদের প্রতি বিদ্বেষ রাখেন,সেই কারণেই নিজেকে ভারতীয় বলতে দ্বিধা বোধ করছেন। মশাই, ৫০০০ বছর ভারতবর্ষে থেকে এখন বলছেন আপনি ভারতীয় নন। ভিসা ছাড়া হিন্দুদের ঢুকতে দিন, পূর্ব বঙ্গে। রাজনৈতিকভাবে আলাদা হলেও সব পাকিস্তানি,নেপালি,বাংলাদেশী,কাবুলি,জালালাবাদী আর লঙ্কার বাসীরা ভারতীয়।
Reply ·
Md Hasan Imam 2 hours ago
দেশভাগতো আমিও মানিনা সিরাজউদ্দৌলা থেকে ইংরেজরা নিয়েছিল বাংলা,বিহার,উড়িষ্যা কিন্তু দিয়ে গেল মাত্র পূর্ববঙ্গ এটা ঠিক না। আর ভাই ইতিহাস জানেন না নাকি প্রথমে বৌদ্ধ পালরা এই বাংলায় রাজত্ব করত পরে হিন্দু গুপ্ত,সেন রা আসে তারপর তুর্কির বখতিয়ার খিলজি লক্ষণ সেন এর রাজ্য মাত্র ১৬ জন সৈন্য নিয়ে দখল করেন কারণ তখন ইমান করা ছিল পরে মীরজফর,রাজবল্লভ,উমিঁচাদ এর বিশ্বাসঘাতকতায় ইংরেজরা শাসন চালায়২০০ বছর। তারপর তারা দেশভাগ এমনভাবে করে যাতে আমরা লড়াই করি যেমন কাশ্মীর দুইজনকে,সুন্দরবন দুইজনকে দেয় ফলে যুদ্ধ লেগেই থাকে পুরো দখলের জন্য যদিও কিছুদিন আগে আমরা সমুদ্র পেয়েছি। এখন তো ভারত আমাদের গরু খাওয়ায় বন্ধ করতে চায়।
Reply ·
অরুণ বাঙালি হিন্দু 2 hours ago
+Md Hasan Imam বৌদ্ধরা হিন্দু সনাতন ধর্মেরই একটা পন্থ, ঠিক যেমন বৈষ্ণব,শাক্ত,শৈব,জৈন,স্মর্ত,শিখরা। দেশভাগের জন্য ইংরেজরা দায়ী নন, জেহাদিরা দায়ী। মুসলিম লিগের গুণ্ডারা হিংসা আর 'লাড়কে লেঙ্গে পাকিস্তানের' নামে পাকিস্তান বানিয়ে ছিলেন। আপনারা বাঙালি মুসলমানেরা আমাদের সঙ্গে নোয়াখালিতে যা নৃশংস অত্যাচার করেছিলেন তা একে বারে অক্ষমণীয়। ইসলামের জন্য ভারতবর্ষের বিভাজন হয়েছিল, কাশ্মীর নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। ইসলামের জন্যই ইজরায়েলে এত আক্রমণ হয়। ইসলামের জন্যই সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ বাড়ছে। মৌলানা মৌদুদি বলে ছিলেন, যে আল্লাহর পৃথিবীতে যেন কোথাও অ-মুসলিমরা রাজত্ব না করতে পারে,তারই ব্যবস্থা মুসলিমদের করা উচিত। সেটার ভয়ঙ্কর পরিণতি চতুর্দিকে দেখা যাচ্ছে।
Reply ·
Md Hasan Imam 1 hour ago
এখন আপনাকে আর ব্রেইনওয়াশড না বলে পারলাম না কিভাবে যে ওয়াশড হয়েছেন বুঝঝি না নিরস্ত্র ফিলিস্তিনীদের জন্য আপনার দয়াও নেই এতটা হীন আপনি আমি ভাবি নাই, যেখানে অনেক ইহূদীই ফিলিস্তিনীদের পক্ষে। নেন একটা লেকচার শুনুন ''A Name of A Game Israel'' লিংকঃhttps://www.youtube.com/watch?v=6eHfcXrxB48
এরপরে আর তিনি প্রতিউত্তর দেননি বোধহয় লেকটচারটি তার ভুলকে সংশোধন করেছে।
ট্যাগসমূহঃ #হিন্দু মুসলিম বিতর্ক, #মুর্তি পূজার ভন্ডামি, #হিন্দু মুসলিম বিবাদ, #সাম্প্রদায়িকতা, #দ্বন্দ্ব,
#হিন্দুমু সলিমের লড়াই, #মুর্তি পূজার সঠিক ইতিহাস, #মুর্তি পূজার ইতিহাস, #গোড়া হিন্দুর সাথে যুক্তি, #ইসলামের জয় হবেই, #ইসলামই সত্য, #হিন্দু মুসলিম ঝগড়া, #রেষারেষি,;
লোকেশন:
Bangladesh
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
যাযাকাল্লাহু খাইরান (আল্লাহ আপনাকে উত্তম পুরষ্কার দান করুক)