এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
চিত্র মেয়েদের সদৃশ:
ফেস চেন্জইংঃ সর্বপ্রথম এম়জে ১৯৮০ সালে এবং সর্বশেষ ২০০০ সালে ফেস চেন্জ করেন।১ম বার নাক,২য় বার নাক চিকন,৩য় বার কালো থেকে সাদা,৪র্থ বার নাক আরও চিকন,৫ম বার মেয়েদের সদৃশ,৬ষ্ট বার সামান্য পুরুষ ভঙ্গি।
ফেস চেন্জিং এ তিনি যে বারবার সফল হয়েছেন তা নয়।বিফলে তার একবার তার আসল নাকটাই খোয়া গেছে।
নাক বিহীন দৃশ্য:
শৈশবঃ
জ্যাকসন পরিবারের ৭ম সন্তান মাইকেল মাত্র ৫ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে পেশাদার সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন।তিনি তখন জ্যাকসন ফাইভ নামের সঙ্গীত গোষ্ঠীর সদস্য হিসাবে গান গাইতেন। ১৯৭১ সাল থেকে মাইকেল একক শিল্পী হিসাবে গান গাইতে শুরু করেন। মাইকেলের গাওয়া ৫টি সঙ্গীত অ্যালবাম বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত রেকর্ডের মধ্যে রয়েছে - অফ দ্য ওয়াল (১৯৭৯), থ্রিলার (১৯৮২), ব্যাড (১৯৮৭), ডেঞ্জারাস (১৯৯১) এবং হিস্টরি (১৯৯৫)। প্রায়শই তাঁকে পপ সঙ্গীতের রাজা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় অথবা, সংক্ষেপে তাঁকে এমজে নামে অভিহিত করা হয়।
কেরিয়ারঃ
১৯৮০র দশকে মাইকেল সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছান। তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী যিনি এমটিভিতে এতো জনপ্রিয়তা পান।
মাইকেলের জনপ্রিয় নাচের মধ্যে রবোট, ও মুনওয়াক (চাঁদে হাঁটা) রয়েছে। মুনওয়াক আসলে হলো সামনের দিকে হাঁটার দৃষ্টিভ্রম সৃষ্টি করে পিছনে যাবার ভঙ্গিমা। এখন সারাবিশ্বের সকল নৃত্যশিল্পীরা মাইকেল জ্যাকসনকে প্রায়ই শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকেন।
চিত্র মুনওয়াক:
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে মাইকেল সর্বকালের সবচেয়ে সফল শিল্পী - ১৩টি গ্র্যামি পুরস্কার, ১৩টি ১নম্বর একক সঙ্গীত, এবং ৭৫ কোটি অ্যালবাম বিক্রয়ের রেকর্ড মাইকেলের রয়েছে। শিল্পী হিসেবে পুরো বিশ্বে তাঁর খ্যাতি ছিলো। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নানা কেলেঙ্কারিতে জড়ালেও প্রায় ৪০ বছর ধরে সারাবিশ্বে বিখ্যাত হয়ে ছিলেন।
এম়জে ভাস্কর্যঃ
মাইকেল জ্যাকসনের সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য বুদাপেস্টে অবস্থিত।বুদাপেস্ট হাঙ্গেরির রাজধানী ও প্রধান শহর।এই ভাস্কর্যটি উদ্ধোধন করার জন্য এম়জে নিজে আসেন এবং তার ভাস্কর্যটি এতই উঁচু ছিল যে কয়েকজন নারী মাথা উঁচু করে দেখতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় আর এর দুই পায়ের মাঝ দিয়ে সুবিশাল হেলিকপ্টারও যাতায়াত করতে পারে।
ভাস্কর্য:
জনশ্রুতিঃ
এম়জে সম্পর্কে সবচেয়ে বড় গুজব এই,তিনি নাকি হাতির মেরুদন্ড নিয়েছেন ড্যান্স করার জন্য।
এরকম আরও অনেক গুজব রয়েছে মাইক এর জীবনে।
ইসলাম গ্রহণ:
অনেকে মাইক এর কনভার্ট হওয়াকে গুজব বলে কাটিয়ে দিতে চান(আল্লাহই ভালো জানেন)।কিন্তু আমার রিসার্চ অনুযায়ী আমি
Mail Online
The Times of India
ইন্ডিয়ার এক নম্বর পত্রিকায়
ও আমাদের দেশের সকল চ্যানেলে মাইক মৃত্যুর সময়ও এই কনভার্ট এর খবর প্রকাশিত হয়।আর আমি যখন 'টাইমস নাউ' দেখলাম তখন অবাক হলাম।সেখানে বলছে এম়জে নাকি নামও পালটিয়ে মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন ল্যাটিন ফর্ম থেকে মিকাইল ইউসুফ জ্যাকসন আরবি ফর্ম রেখেছেন।
টাইমস নাউ:
এ সংবাদ দেখার পর আমার মুক্তমন,বুদ্ধি ও চিন্তা দ্বারা বিশ্বাস করতে বাধ্য হলাম যে মাইকেল জ্যাকসন ইসলাম গ্রহণ করেছেন যেভাবে আরেক নিগ্রো অ্যামেরিকান গায়ক 'একন' ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
একন:
আর ইসলাম গ্রহণ এর পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি আর মেয়েদের সদৃশ সাজেন নি।
মৃত্যুঃ
মাইক এক অসহনীয়ভাবে মৃত্যু বরণ করেন।মৃত্যুর আগের দিনও তিনি পারফর্মেন্স করছেন।
মৃত্যুর আগের দিন:
মুলত মাইক এর পার্সোনাল ডাক্তার Dr.Conrad Murray ই তাকে হত্যা করেন এজন্য তাকে কারারুদ্ধ করা হয়।
Conrad Murray:
২৪শে জুন ২০০৯ এর রাতে এম়জে পারফর্ম্যান্স করে এসে ইতস্তবোধ করলে তাকে Dr. Conrad Murray টিউব স্যালাইন দেন।১ঃ৩০ মিনিটে Dr. Conrad Murrayতার টিউব স্যালাইনে Valium নামক ড্রাগ দেয় এটা কাজ করে না ফলে আবার ২ঃ৩০ এ Ativan নামক ড্রাগ দেয়।এটাকে আরও কার্যকর করার জন্য এর সাথে Dormicum Midazolam দেয়।এতেও কাজ না হওয়ায় Dr. Conrad Murray তাকে সকাল ১০ঃ৪০ মিনিটে ২৫ মিলিগ্রাম Propofol নামক অতি শক্তিশালী ড্রাগ দেয় তার টিউব স্যালাইনে।এবার তা কাজ করে এবং এম়জে মৃত্যুমুখে পতিত হয়।
এবিসি নিউজ:
মৃত মাইক:
(আমার নিজস্ব গবেষণা বিভিন্ন সূত্র থেকে)
লোকেশন:
Southern Asia
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
যাযাকাল্লাহু খাইরান (আল্লাহ আপনাকে উত্তম পুরষ্কার দান করুক)